শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, খ্যাতিমান লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, নতুন সহস্রাব্দের সম্পদ অস্ত্র নয়, জ্ঞান। আমি সেই জ্ঞান কারখানার একজন মানুষ। আমার কাজ হচ্ছে জ্ঞান দেওয়া। জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এ দেশকে বিশ্বের মাঝে অনন্য করতে হবে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ৫৫টি স্কুলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত জাতীয় হাইস্কুল প্রোগামিং কনটেস্টের আঞ্চলিক পর্বের আসরের উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক জাফর ইকবাল বলেন, আমি তোমাদের বয়সে কোনো পুরস্কার পাইনি। দৌঁড়, লাফা-লাফি ও উচ্চারণে ভালো ছিলাম না বলে পুরস্কার পেতাম না। তাই আজ যারা পুরস্কার পাচ্ছো না আমি তাদের দলে। মনে রাখবে কেবল পুরস্কারই সব কিছু নয়। কারণ আজ পুরস্কার না পওয়া সেই আমি পুরস্কার দিয়ে বেড়াচ্ছি। তোমরাও একদিন সফল হয়ে আমার মতো মেডেল তুলে দেবে বিজয়ীদের হাতে। পুরস্কার পাওয়ার চেয়ে পুরস্কার দেওয়ার মজা আরও বেশি। আমি শত-হাজারো পুরস্কার দিয়ে এটা বুঝতে পারছি। তাই যারা এখন সফল না তারা দমবে না বরং আরও অনুপ্রেরণা কাজে লাগিয়ে সফল হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. জাফর ইকবাল বলেন, আগে একটা সময় ছিল আমরা অনুপ্রেরণা দিতে ঘুরে বেড়াতাম, বলতাম এটা করো এভাবে করো, বেড়ে ওঠো। এখন উল্টো। আমি এখন তোমাদের মতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে ঘুরে বেড়াই। অনুপ্রেরণা পাওয়ার আশায় ছুটে আসি। এই যে আমার সামনে ১২০০ শিক্ষার্থী আছে, দেখলেই ভালো লাগে, অনুপ্রাণিত হই।
খ্যাতিমান এই লেখক বলেন, ২০৫০ সালে বাংলাদেশ ইউরোপকে ছাড়িয়ে যাবে এমন আশা আমরা করছি। এই তোমরাই সেই মানুষ যারা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিবে। তোমাদের মতো সাড়ে চার কোটি মানুষ আছে। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরবে অন্যরকম ভাবমূর্তিতে। তোমরাই বাংলাদেশকে বড়লোক বানাবে। একটা অঙ্ক করবে আর বাংলাদেশ বড়লোক হবে। এভাবে একটি ছবি আঁকবে, কবিতা পড়বে, প্রোগ্রামিং করবে আর বাংলাদেশ তোমাদের হাত দিয়ে বড়লোক হতে থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন