বিচার বিভাগ ও সংসদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় দেশে সংকট চলছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের চলমান সংকট নিরসনে দরকার জনগণের সরকার। আর জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে দরকার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবার্চন, পাশাপাশি একটি স্বাধীন নিবার্চন কমিশন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ২০ দলীয় শরীক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় মির্জা ফখরুল তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান উনি কি ধরনের গণতন্ত্র চান। ৭৫ সালের কথা কি উনি ভুলে গেছেন। বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপি নেত্রীসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে। এর নাম কি গণতন্ত্র।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উন্নয়ন আগে গণতন্ত্র পরে-আওয়ামী লীগের নতুন এই স্লোগান জনগণ গ্রহণ করবে না জেনেই সেখান থেকে তারা সরে এসেছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, সরকার কী উন্নয়ন করেছে? সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি, উন্নয়ন হয়েছে আপনাদের (ক্ষমতাসীনদের)। আপনারা কোটি কোটি নয়, শত শত কোটি টাকা লুণ্ঠন করে দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে বর্তমানে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে সত্যিকার অর্থে সেটি একটি বড় রকমের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। তারা আসলে গণতন্ত্রের লেবাসে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব