কল্যাণপুরে 'অপারেশন স্টর্ম ২৬' অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির মধ্যে রয়েছে আকিফুজ্জামান খানের নাম। জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে জানা যায় তার পরিচয়। তার বাসা রাজধানীর গুলশানে। পুলিশের দেওয়া ঠিকানা অনুসারে রাজধানীর গুলশানের ১০ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর বাড়িটি আকিফুজ্জামানের পিতা সাইফুজ্জামান খানের। বাড়িটি এখন নিরব। যেন এক পোড়োবাড়ি। নিরব ছিলেন নিহত আকিফুজ্জামানও। এলাকায় কারও সঙ্গে কখনো কোন বাদানুবাদে জড়াতে দেখা যায়নি তাকে। প্রতিবেশীদের মতে তার মতো শান্ত ও ভদ্র প্রকৃতির ছেলে ইদানিং দেখা যায় না। কোন ফাঁকে জড়িয়ে পড়লেন জঙ্গি কর্মকাণ্ডে তা যেন তাদের (প্রতিবেশী) ভাবনার বাইরে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্যনুযায়ী নিহত সাতজন হলেন- জোবায়ের হোসেন, সাজাদ রউফ অর্ক ওরফে মরক্কো, আব্দুল্লাহ, আবু হাকিম নাঈম, তাজউল হক রাশিক, আকিফুজ্জামান খান ও মতিয়ার রহমান।
সাইফুজ্জামান খানের ছেলে আকিফুজ্জামান খান। বুধবার রাতে সেই বাড়টিতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি কেউই। ভেতর থেকে জানানো হয়, বাড়িতে অসুস্থ মানুষ। কথা বলার মতো অবস্থা নেই। বাড়িটিতে সুনশান নিরবতা। দীর্ঘদিন রঙ না করায় অনেকটা পোড়োবাড়ির রূপ নিয়েছে সেটি।
কথা হয় কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে। ছবি দেখে তারা চিনতে পেরেছেন আকিফুজ্জামানকে। সংবাদমাধ্যমেও তারা ঘটনা শুনেছেন, পড়েছেন, দেখেছেন। প্রায় প্রত্যেকেই জানান, খুবই শান্ত ও ভদ্র প্রকৃতির ছেলে ছিলেন আকিফুজ্জামান। পাশের এক বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী জানান, আকিফুজ্জামান খানের বাবা বেঁচে নেই। প্রায় আট /দশ মাস আগে এলাকায় তাকে দেখেছি। খুবই শান্ত প্রকৃতির ছিলেন তিনি। সালাম দিলে উত্তর দিতেন। কেমন আছি জানতে চাইতেন। বাড়ির উত্তর পাশের রাস্তা দিয়ে মসজিদে যেতেন। পরে আর দেখিনি।
বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, দুইতলা বাড়িটির মূল সড়কের পাশে পূর্বদিকে এবং উত্তর পাশের গলির সড়কের দিকে মোট দুটি গেট রয়েছে। তবে উত্তর পাশের গেটটি তালা দেওয়া এবং গেটের সামনে ময়লার স্তূপ। পূর্ব পাশের মূল গেট দিয়ে বাড়ির ভেতরে ধুলোপড়া একটি পুরনো গাড়ি দেখা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ