১৮ বছর আগে ট্রান্সকম গ্রুপের মালিক লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়ে গৃহকর্মী শহীদুল ইসলাম শহীদের ফাঁসি বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তবে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনের মধ্যে বাকি চারজনকে খালাস দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
আসামিদের করা আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেয়।
ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- লতিফুর রহমানের বাড়ির কাজের ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান, গৃহকর্মী হাসানের সহকারী বাদল এবং গৃহকর্মী দুই বোন এস্তেমা খাতুন মিনু ও পারভীন।
এর আগে, ২০০৩ সালে বিচারিক আদালত এ মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তবে তিন বছর পর হাইকোর্ট একজনের খালাস দিয়ে পাঁচজনের সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল রাখেন। মঙ্গলবার তাদের মধ্যে থেকে শুধু শহীদুল ইসলাম শহীদের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন লতিফুর রহমানের মেয়ে স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শাজনীন তাসনিম রহমান। এ ঘটনায় শাজনীনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়। পরে সিআইডি আরও একটি মামলা করে।
বিডি-প্রতিদিন/০২ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব