জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে দেশের সব গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিকতার শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম ও জঙ্গিবাদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গণমাধ্যম রুখবেই জঙ্গিবাদ, প্রিয় বাংলাদেশ’ স্লোগানে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বিভাগটির অনারারি অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান, প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান, বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। এতে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশ নেয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আর সি মজুমদার মিলনায়তনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের তরুণদেরকে মগজ ধোলাই করে যারা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত করছে গণমাধ্যমে তাদের আসল ধোলাই দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষেপে গেছে। তাই একাত্তরে যে ঐক্যে আমরা পৌঁছেছিলাম, মনে হচ্ছে এখন আমরা তার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে গণমাধ্যমের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন আছে। তাই গণমাধ্যমে যারা কাজ করছেন, তাদেরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ঢাবি উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমাদের দেশের মানুষ যে জঙ্গিবাদকে পছন্দ করে না তার বড় প্রমাণ জঙ্গিদের পরিবার তাদের লাশ পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। তাই গণমাধ্যমে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক সংবাদ প্রচার করতে হবে। গণমাধ্যম ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানই পারে জঙ্গিবাদকে রুখতে।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের ২রা আগস্ট ঢাবির গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঐতিহ্যবাহী এই বিভাগটির শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০২ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব