রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। বুধবার ভোর ৫টায় ও বেলা সাড়ে ১১টায় পৃথক এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার শ্রীমান্তপুর এলাকার মৃত আবদুল মান্নানের স্ত্রী আনোয়ার বেগম বানু (৬০), একই এলাকার মাওলানা ইসরাইলের স্ত্রী মাবিয়া বেগম (৬০) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কাতখালি গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী আলেয়া বেগম (২৮)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর ৫টার দিকে আনোয়ারা বেগম বানু ও মাবিয়া বেগমসহ কয়েকজন নারী গোদাগাড়ী ডিগ্রি কলেজের সামনে মহাসড়কের ধার দিয়ে হাঁটছিলেন। এ সময় রাজশাহীগামী একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের পেছন থেকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আনোয়ারা বেগম বানু নিহত হন। পরে স্থানীয়রা মাবিয়া বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সাহাব্দিপুর এলাকায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আলেয়া বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হন অন্তত ২০ জন। এদের মধ্যে ১৪ জনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টার দিকে সাহাব্দিপুর এলাকায় একটি ট্রাক থামিয়ে টাকা আদায় করছিলেন গোদাগাড়ী ট্রাফিক অফিসের একজন সার্জেন্ট। এ সময় অপর একটি ট্রাক দ্রুত পালাতে গিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটায়। এতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ওই সার্জেন্টকে মারপিট করে আটকে রাখে। পরে জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খালিদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে মুক্ত করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জানান, নিহত তিন নারীর মৃতদেহ রামেক হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর সাহাব্দিপুরের দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাক জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব