ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের জলসীমায় মোট ২৬ টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। এসব দ্বীপের মোট জমির পরিমাণ ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৭০ একর। এরমধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সাময়িকভাবে বসবাসের জন্য এসব দ্বীপে সেনাবাহিনী জরিপ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতীয় সংসদে আজ টেবিলে উত্থাপিত মহিলা এমপি বেগম পিনু খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ভূমিমন্ত্রী আরো জানান, বিগত ১০ বছরে বঙ্গপোসাগর এসব দ্বীপ জেগে উঠেছে। এরমধ্যে নোয়াখালী জেলার জলসীমায় জেগেছে ৫ টি দ্বীপ।
দ্বীপগুলো হলো: হাতিয়ার ভাষান চর, স্বর্ণদ্বীপ, চরকবির, চর বন্দনা এবং সুবর্ণচরের রজনীগন্ধা। উক্ত চরসমূহের মোট ৭৫ হাজার ৮৭৪ একর জমি জেগে উঠেছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেলাধীন সন্দ্বীপ উপজেলায় জেগে উঠেছে আরো ২টি দ্বীপ। ঠেঙ্গারচর ও জাহাজ্জ্যোর চর। এতে জমির পরিমাণ আনুমানিক ১৮ হাজার ৯১২ দশমিক ৯০ একর।
এছাড়া কক্সবাজার জেলার জলসীমায় ১৯ টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। উক্ত চরসমূহে মোট জমিরপরিমাণ ৩০ হাজার ৫৮৩ একর। এগুলো হলো: কক্সবাজারের বাঁকখালী খরাট চর, উখিয়ার জালিয়াপালং চরপাড়া, টেকনাফের জিনজিরাদ্বীপ, মধ্যহ্নীলা, উত্তর হ্নীলা, শাহপরার দ্বীপ। মহেশখালীর মাতারবাড়ি মৌজা, ধলঘাটা, হাঁসের চর, কালারমারছড়া, উত্তরনলবিলা, আমাবশ্যাখালী, কুতুবজোম, সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গা, সোনারদিয়ার উত্তরে ঘাটিভাঙা মৌজা এবং হামিদরদিয়া। কুতুবদিয়ায় কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ এবং নতুন ঘোনা। পেকুয়ায় করিয়ারদিয়া এবং দুবাইঘোনা। ভ‚মিমন্ত্রী জানান, এসব দ্বীপগুলো এখনো জনশুন্য এবং দ্বীপগুলো সেনা বাহিনীর হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।
সকল এসিল্যান্ডকে গাড়ি দেয়া হবে
গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, দেশের সকল সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) একটি করে গাড়ি পাবেন। ভূমিমন্ত্রী বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। সরকারি ভূমি উদ্ধারে তাদের মাঝে মাঝে অভিযানও পরিচালনা করতে হয়। সুতরাং তাদের সবারই গাড়ির প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, সহকারি কমিশনারদের মাঝে বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ১শ’টি গাড়ি কেনা হয়েছে। আরও গাড়ি কেনা হবে। পর্যায়ক্রমে সব জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সহকারি কমিশনারদের গাড়ি দেয়া হবে। সরকারি দলের সদস্য নুরজাহান বেগমের তারকা চিহ্নিত অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৩ হাজার ১শ’টি ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন