আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদের উপ-নির্বাচন ও দুই সিটির ৩৬ ওয়ার্ডে নির্বাচনে পরীক্ষামূলকভাবে দুইটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের কথা থাকলেও সেই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপ থেকে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে কমিশন।
এদিকে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ভোট ব্যালট পেপারেই নেয়া হবে। তবে সদর উপজেলাগুলোতে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। সোমবার নির্বাচন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ভোট ১০। ১৮ মার্চ ১২৯ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন আগামী ২৪ মার্চ সাত বিভাগের ২৫ জেলার ১২৭টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে উপজেলা নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণে সনাতন ব্যালট পেপারের বদলে ইভিএম ব্যবহার করতে চাইছে। ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনেও ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য আইনি বাধাও দূর করা হয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে যে আইনি বাধা দূর করার প্রয়োজন তা এখনো হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র এবং দুই সিটিতে ৩৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২২ জন সদস্য থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন সদস্য থাকবে। বিজিবি, র্যাবের বিশেষ টহল থাকবে। ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/আরাফাত