২৬ জুন, ২০১৯ ১২:১৬

'ওয়ান ইলেভেনে জোর করে নেওয়া সেই টাকা এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি'

অনলাইন প্রতিবেদক

'ওয়ান ইলেভেনে জোর করে নেওয়া সেই টাকা এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি'

ওয়ান ইলেভেনের সময় সেই অবৈধ সরকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা নিয়েছিলো, সেই টাকা সরকার এখনো ফেরত দেয়নি। অন্যদিকে, ঋণ খেলাপির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তারা এই টাকা বিদেশে পাচার করে ভোগ বিলাসের জীবন যাপন করে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। গতকাল মঙ্গলবার সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। এছাড়া তরুণদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও আহ্বান জানান তিনি।

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে সিলেটবাসীর দুর্ভোগ জাতীয় সংসদে তুলে ধরে বলেন,  মাননীয় স্পিকার আমি আমার বাজেট বক্তৃতায় যাওয়ার আগে আমার এলাকা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। আজকে যখন আমি এখানে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছি তখন আমাদের বৃহত্তর সিলেট বিভাগের মানুষের মন ভালো নেই। আপনি জানেন, গত পরশুদিন সিলেট থেকে ঢাকা আসার পথে উপবন এক্সপ্রেস কুলাউড়াতে বগি লাইনচ্যুত হয়ে সেখানে মানুষের মৃত্যু হয়েছে, বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, মাননীয় স্পিকার আপনি শুনলে আশ্চর্য হবেন সিলেট বিভাগের অঞ্চলের রেললাইনে সংস্কার কাজের নামে, যেখানে স্লিপার ধরে রাখার জন্য ইস্পাতের পাত রাখার কথা সেখানে বাশের মধ্যে পেরেক দিয়ে শেষ রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। সিলেট অঞ্চলের প্রতি এই যে বৈষম্য এ জন্য মানুষের মন ভালো নেই।

তিনি বলেন, এর আগে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শাহবাজপুরে একটি ব্রিজ ভাঙনের জন্য সড়কপথের যোগাযোগ বন্ধ ছিল, সিলেট বিভাগের মানুষদের ট্রেনে আসতে হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও দুর্ঘটনা হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, সিলেটের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়কের কাজ একবছর শুরু হলেও ধীরগতির কারণে শেষ না হওয়ায় সুনামগঞ্জের মানুষের দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে না। 

পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, সুনামগঞ্জে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও সুবিধা বৃদ্ধি, দ্রত ধারারগাঁও হালুয়ারঘাট, চলতি নদীতে সেতু নির্মাণ, দ্রুত ঢাকা সুনামগঞ্জ রেলযোগাযোগ বাস্তবায়ন, শিক্ষিত তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকুফের দাবি জানান।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর