উত্তরের বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সোমবার সকাল ৮টায় হজরত শাহ্ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। ভোরের আকাশে মেঘ থাকলেও সকালে রৌদ্রজ্জ্বল হয়ে ওঠে রাজশাহী। ঈদগাহ তাই মানুষের ঢল নামে।
রাজশাহীর বিশাল এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন, মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামীয়া শাহ্ মখদুম (রহ.) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ শাহাদাত আলী। সহকারি ইমাম ছিলেন হেতমখাঁ বড় মসজিদের ইমাম মুফতি মালানা ইয়াকুব আলী। বয়ান করেন জামিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা নাজমুল হক। তাকে সহায়তা করেন মুফতি ক্বারী রেজাউল করিম।
একই সময় ঈদের দ্বিতীয় প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় মহানগর ঈদগাহ (টিকাপাড়া) ময়দানে। তৃতীয় জামাতও অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় মহানগরীর সাহেব বাজার বড় রাস্তায়।
কেন্দ্রীয় শাহ্ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের এমপি এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ঈদের প্রধান জামাতে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে দেশ ও জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় দেশ ও জাতির স্বার্থে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য রক্ষার ডাক দেওয়া হয়। আহ্বান জানানো হয় সন্ত্রাসবাদ পরিহারের।
পরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সবাই একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে ঈদ-উল-আজহার শুভেচ্ছা এবং কুশলাদি বিনিময় করেন। এছাড়া একই সময় রাজশাহী মহানগরের ১১৮টি ঈদগাহসহ জেলার নয়টি উপজেলার শতাধিক ঈদগাহে ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রয়াত পিতা-মাতা ও স্বজনদের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য বিভিন্ন গোরস্থানে যান এবং কবর জিয়ারত করেন।
পরে ঈদ জামাত থেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে সবাই আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় হজরত ইব্রাহিমের (আ.) ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্মরণ করে সাধ্যমত পশু কোরবানি করছেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ