শিরোনাম
- কানাডায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উদযাপিত
- ঢাকার প্রতিটি থানা হবে জনগণের: ডিআইজি রেজাউল
- তিন দাবিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতরা শাহবাগে
- মন্সিগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা-লুটপাট, আহত ৪
- তীব্র গরমে আজও পুড়বে ঢাকাসহ আট জেলা
- এপ্রিলে সড়কে ৫৯৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৮ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
- উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি
- ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
- আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল চায় এনসিপি
- যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
- মাদককাণ্ডে কারাদণ্ডের পরিবর্তে ম্যাকগিলকে অন্যরকম শাস্তি
- গুরুদাসপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২
- গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
- সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী
- ঢাকাসহ ৮ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের আভাস
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
- কোহলিকে অবসর না নিতে অনুরোধ লারার
- সূচকের বড় উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- ভাঙ্গায় রাতের আঁধারে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম, একজনের মৃত্যু
- আমরা কোনও প্রতিকূল আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আশা করি না : প্রেস সচিব
যুবলীগ নেতা রাসেল হত্যাকাণ্ড
খুনিরা অধরা, জেল খাটছে নিরাপরাধরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীতে যুবলীগ নেতা সানোয়ার হোসেন রাসেল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা এখনও অধরা। খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। নগরীজুড়ে সাটানো হয়েছে পোস্টার। ওই পোস্টারে হত্যায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ছবি দেওয়া হয়েছে। মূল হত্যাকারীরা গ্রেফতার না হলেও জেল খাটছে নিরাপরাধ শিশু ও তরুণরা।
মামলার বাদী মনোয়ার হোসেন রণি বলেন, ‘আমরা মামলায় যাদের নাম দিয়েছি, পুলিশ তাদের ছেড়ে অন্যদের আটক করেছে। আমরা পুলিশকে বলেছি, এরা তো ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে নাম দিয়ে দিয়েছে।’
নগরীর শিরোইল কলোনির মুজাহিদ ইসলামের জেএসসি পরীক্ষা ছিল ১৩ নভেম্বর। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে দুপুর ২টার দিকে। তার আগেই ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। একই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরেক জেএসসি পরীক্ষার্থী কামাল উদ্দিনকে। শুধু এই দুই জেএসসি পরীক্ষার্থীই নয়, ঘটনার সময় রাজশাহীতে ছিলেন না এমন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহীনুর রহমানকেও এ মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা তিনজনই এখন কারাগারে।
মুজাহিদ ইসলামের মা হোসনে আরা বেগম বলেন, 'ঘটনার দিন পরীক্ষা ছিল মুজাহিদের। দুপুর ১টায় পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর নওদাপাড়া থেকে ২টার দিকে বাড়ি ফিরে খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে ছিল। সন্ধ্যার দিকে বাড়ির মোড়ে এলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।'
কামাল উদ্দিনের বাবা জামাল উদ্দিন জানান, কামাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি এসে সন্ধ্যার দিকে মোড়ে গেলে একটি ক্লাব ঘরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তারা পরীক্ষার কাগজপত্র দেখানোর পরেও পুলিশ ছাড়েনি।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহিনুর রহমান ঘটনার দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বাড়ির মোড়ে এলে পুলিশ তাকে সেলুন থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
শাহিনের বাবা নূর মোহাম্মদ সরদার জানান, পুলিশ কারও কোনো কথা না শুনেই পাড়ার মোড়ে যাকে পেয়েছে তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে।
নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, এজাহারে থাকা ও অজ্ঞাতদের সম্পর্কে তথ্য নিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে। তারপরেও পুলিশের কোনো গাফিলতির কারণে নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই একজন এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি আলাদাভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, মূল হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে নগরীজুড়ে পোস্টার সাটানো হয়েছে। ওই পোস্টারে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দাবি করে ৯ জনের ছবি দেওয়া হয়েছে। ওই ৯ জনের একজনকেও পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর পশ্চিম রেলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুপুরে রাসেলের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন রাজার ওপর হামলা হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে ছুরির আঘাতে জখম হন রাসেল। পরে তার মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর