২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ২২:২৫

‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে শালবন বিহারে ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন’

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে শালবন বিহারে ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন’

'প্রচীনকালে ময়নামতি শালবন বিহারের মত এক একটি বিহার একেকটি দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে প্রতিনিধিত্ব করতো। কিন্তু বর্তমানে সারাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে শালবন বিহারের মত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের দর্শনীয় স্থানের উপর দৃষ্টি রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এসব প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রয়োজন। সেই সাথে রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকারও প্রয়োজন।' 

শুক্রবার কুমিল্লার ময়নামতি শালবন বিহার এবং ময়নামতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়া এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে। এই সংকট মিটিয়ে কুমিল্লার লতিকোট মুড়া, ইটাখোলা মুড়া ও রূপবান মুড়া, রাণীর কুটির এবং লাকসামের নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণীর বাড়ি সংরক্ষণ এবং সংস্কারের বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। এছাড়া বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মণের বাড়িতে জাদুঘর নির্মাণে আবেদন করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, শালবন বিহার এখনও আন্তর্জাতিক মানের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে মর্যাদা লাভ করতে পারেনি। শালবন বিহার এবং মহাস্থানগড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে ছোট ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এর আগে ময়নামতি জাদুঘরের প্রবেশ পথে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রাক্তন আঞ্চলিক পরিচালক মো: মোশারেফ হোসেন, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো: আতাউর রহমান, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আমিরুজ্জামান, ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক রাখী রায়, সহকারী স্থপতি খন্দকার মাহফুজ আলম, ফিল্ড অফিসার মো: খায়রুল বাসার, মো: শাহীন আলম, সহকারী প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আহমেদ এবং ময়নামতি জাদুঘর -শালবন বিহারের কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর