করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বরিশাল নগরীসহ জেলায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। তবে লকডাউন ঘোষণার পরও নগরীসহ জেলার সর্বত্র প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। মঙ্গলবারও রাস্তায় প্রচুর সংখ্যক মানুষ দেখা গেছে।
নানা প্রয়োজনে এবং অজুহাতে নগরীর সদর রোডসহ বিভিন্ন সড়ক এবং বাজারে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিলো।
কেউ জরুরি প্রয়োজনে, কেউ অফিসের চাপে, আবার কেউ নানা অজুহাতে রাস্তায় বের হয়েছেন। তবে মানুষকে ঘরে রাখতে নানামুখি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
রবিবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন দুই রোগী প্রথমবারের মতো করোনা সংক্রমিত হওয়ায় ওই দিন রাতেই নগরীসহ পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। পরদিন সোমবারও বরিশাল জেলায় নতুন করে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়। এরপরও অনেক মানুষ সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঘরের বাইরে বের হয়েছেন।
নগরীর সদর রোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে রাস্তায় বের হওয়া অপ্রয়োজনীয় যানবাহন আটকে দেয় পুলিশ। অনেককে বুঝিয়ে ফেরত পাঠায় বাসায়।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, জেলা লকডাউন ঘোষণা করার আগেই করোনা এড়াতে জেলার ৩টি সীমান্ত আটকে দেয় পুলিশ। বাইরের জেলা থেকে কাউকেই বরিশাল জেলায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ থেকে যাতে কেউ নৌপথে বরিশাল আসতে না পারে সে জন্য জেলার সকল নৌ পথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
স্থানীয় জনগণ আগের চেয়ে অনেকাংশে লকডাউন মেনে চলছে। লকডাউন মেনে চলতে পুলিশ আরও কঠোর হচ্ছে। নিজের, পরিবারের এবং দেশের স্বার্থে লকডাউন মেনে চলার জন্য বরিশালের জনগণের প্রতি আহবান জানান পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন