সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দিন দিনে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। প্রতিদিনই বিশ্বজুড়ে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। এর থাবা থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি কোনো কাজে আসবে না। এই মুহূর্তে প্রয়োজন অনির্দিষ্টকালের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা। ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ঠেকাতে জাপান যদি রাজধানী টোকিওসহ ৬টি প্রশাসনিক অঞ্চলে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে তাহলে আমাদের দেশে কেন সম্ভব নয়?
সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম কর্তৃক প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে ত্রাণ নিয়ে হাহাকার চলছে। কিছু কিছু চোর সরকারের ত্রাণ আত্মসাৎ ও লুট করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ত্রাণ নিয়ে লুটপাট বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মশকনিধন কার্যক্রমে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব এসেছে। মশক নিয়ন্ত্রণে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরাও যেন করোনামুখী না হয়ে যান, সেদিকে দুই সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মনোযোগ দিতে হবে। এখন থেকেই এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। তা না হলে কিছুদিনের মধ্যে করোনার মতো ডেঙ্গু পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। করোনার ভয়াবহতার মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলে বাঁচার উপায় নাই। তাই ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে সিটি কর্পোরেশনগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন