শিরোনাম
- মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে : তারেক রহমান
- সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন
- স্কুল-কলেজের সিসি ক্যামেরাগুলো ভোটকেন্দ্রে ব্যবহার করতে চায় ইসি
- সংসদ নির্বাচনে প্রতিবন্ধীদের ভাবনা জানতে চায় ইসি
- জেতার সম্ভাবনা আছে এমন শরিকদের জন্য আসন ছাড়বে বিএনপি : আমীর খসরু
- ‘যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই বাংলাদেশ পাইনি’
- বাকৃবির উদ্ভাবন: দেশের প্রথম হাঁসের ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন
- ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠালে দুই বছরের দণ্ড ও জরিমানা
- খুলনায় নবায়নযোগ্য শক্তি বিষয়ক বিতর্ক উৎসব শুক্রবার
- চুক্তির আমলাদের হাতেই প্রশাসনের লাগাম
- জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে
- কুমার বিশ্বজিতের সুরে কিশোরের নতুন গান
- লাবুশেনের ব্যাটে রানের ফোয়ারা
- বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?
- সিরাজগঞ্জে অটোচালক হত্যার রহস্য উদঘাটন, তিনজন গ্রেফতার
- শাবিপ্রবি ছাত্রদল সভাপতির উদ্যোগে মুক্ত দুই ছাত্র ইউনিয়ন নেতা
- আশুলিয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ৬ ইটভাটা
- নাফ নদে ৬ রোহিঙ্গা জেলেকে অপহরণ
- আরও এক ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করল হামাস
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
করোনা ছড়ানোর চরম ঝুঁকির মধ্যে রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
দেশে আসা প্রবাসীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে দেশজুড়ে। সারা দেশের মতো রাজশাহী শহর থেকে গ্রাম সবখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় প্রবাসীরা। এমন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের নিয়ন্ত্রণ ও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসন মাঠে নামে। জরিমানা করা হয় প্রায় শতাধিক প্রবাসীর।
এছাড়াও প্রবাসীদের খুঁজতে মাঠে নামে প্রশাসন। প্রবাসীদের খুঁজতে মাঠে নেমে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে জেলা প্রশাসন। এতে এ অঞ্চলে কতজন প্রবাসী আছে তার সঠিক হিসেব পাওয়া যায়নি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী রাজশাহী জেলায় আসে প্রায় তিন হাজার প্রবাসী। যাদের মধ্যে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয় হাজার খানেক। বাকি প্রায় দুই হাজার প্রবাসীর হদিস করতে পারেনি প্রশাসন।
প্রবাসীদের পর এবার ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসা লোকজন রাজশাহীতে করোনা আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। যার কারণে তাদের খুঁজতে এবার মাঠে নেমেছে রাজশাহীর জেলা প্রশাসন। মূলত ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে রাজশাহীতে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই গার্মেন্টম কর্মী। এছাড়াও আছে বিভিন্ন যানবাহনের শ্রমিক।
জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে রাজশাহীকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। নগরী ও জেলার প্রবেশ মুখে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। তারপরও রাজশাহীতে প্রবেশ করছে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লোকজন। কখনও ট্রাকে মালপত্রের সঙ্গে, কখনো জরুরি ওষুধ সরবরাহের গাড়িতে, আবার কখনো মাছ বা মুরগির গাড়িতে। চালকদের ম্যানেজ করে এসব মানুষ ঢুকছে রাজশাহীতে। এতে রাজশাহীতে বাড়ছে ঝুঁকি। প্রশ্ন হলো নগরীর বাইরে রাজশাহীতে ঢোকার প্রবেশ পথে ২৪ ঘন্টা পুলিশ পাহারা থাকার পরও কী করে এসব মানুষ রাজশাহীতে প্রবেশ করছে।
গত রবিবার পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে আসার পর ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। হাইয়েস ব্র্যান্ডের গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে এসে ধরা পড়েছেন তারা। ধরা পড়া সবাই ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় থাকতেন। এ সময় দুই ট্রাক থেকে আরও ১১ জনকে নামানো হয়। তারাও সবাই ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন।
রাজশাহীর সিভির সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যারা রাজশাহী এসেছেন তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে যারা এসেছেন তাদের ব্যাপারে বেশি গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা না হলে এ জেলাতেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ জন্য তারা যেন পুলিশ বা স্বাস্থ্য কর্মীদের জানিয়ে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে চলে যান। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকা থেকে আগতদের প্রতিবেশীদেরও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে তাদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ রাজশাহীতে ঢুকেছে। এতে রাজশাহীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে তারা। এদের মধ্যে দুইদিনে দেড়শোর মত কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
একই ধরনের কথা বলেছেন রামেক হাসপাতালের করোনা নির্ণয় ও চিকিৎসা টিমের প্রধান ডা. মো. আজিজুল হক আযাদ। তিনি বলেন, চিকিৎসক আজিজুল হক আযাদ বলেন, রাজশাহীকে করোনামুক্ত রাখতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ যে জেলাগুলোতে ভাইরাস ছড়িয়েছে সে এলাকা থেকে যারা আসছে তাদের বাড়ি থাকা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে তাদের প্রতিবেশীদের এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশকে খবর দিয়ে আগতদের কোয়ারেন্টিন ও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান এই চিকিৎসক।
রাজশাহীতে করোনা শনাক্ত তিনজনের মধ্যে দুইজন পুঠিয়া উপজেলার ও অপরজন বাগমারা উপজেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে দুই জন নারায়ণগঞ্জ ফেরত। অপরজন ঢাকার শ্যামলী থেকে রাজশাহীতে এসেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
এই বিভাগের আরও খবর