করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হলেও রাজধানীর পাইকারি বাজারে চিত্র ভিন্ন। অনেকটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েই দৈনন্দিন কাজ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এতে শুধু রাজধানী নয়, ঢাকার বাইরেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সচেতন থেকেই ব্যবসা করার দাবি ক্রেতা-বিক্রেতার। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মনিটরিং জোরদারের পরামর্শ বাজার বিশ্লেষকদের।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টা। করোনাভাইরাসে দেশে প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। তবু এ যেন ইচ্ছেকৃত সংক্রমিত হওয়ার মিলনমেলা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশিরভাগই নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদাসীন।
বাজারের একজন শ্রমিক জানান, যদি আল্লাহ আমার ক্ষতি দেন, তাহলে এমনই হবে। বাজার কমিটির কারো দেখা না মিললেও মনিটরিং এ থাকা একজন জানালেন, সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন তারা।
বাজার মনিটরিংয়ে দায়িত্ব থাকা একজন জানান, বাজারের ভেতরে যারা মাস্ক পরছেন না, তাদের মাস্ক পরার বিষয়ে বলা হচ্ছে। নিরাপদ দূরত্বে থাকার বিষয়ে বলা হচ্ছে। তবে একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চোখে পড়েনি প্রশাসনের উপস্থিতি। মনিটরিং জোরদার করা ছাড়া এ অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাকগুলো যে পয়েন্ট দিয়ে ঢুকছে, সেখানে ট্রাকগুলো যদি কন্ট্রোল করা যায় এবং কমে কমে ছাড়া যায়। একই সঙ্গে যে ক্রেতারা কিনতে আসবে তাদের যদি কন্ট্রোল করে ছাড়তে পারেন, ভেতরেও যদি লোক সমাগম কম হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যদি ভিতরে নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারে তাহলেই রক্ষা পাবেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন