বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আতঙ্কের নাম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কিন্তু এখনও কোনো প্রতিষেধক আবিস্কার না হওয়া সবাইকে ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে কেউ বাইরে বের হলে তাদের মাস্ক পরার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কারণ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছাড়ানো এই ভাইরাস রোধে মাস্কের বিকল্প নেই। বাংলাদেশেও মাস্ক পরা নিয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এবার কোনো কোনো দেশ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকও করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম মজুদ ও উচ্চ দামে বিক্রি করছে অনেক অসাধু ব্যক্তি। এক ব্যক্তির কাছে ২০টি মাস্কের মূল্য হিসেবে ৩০ হাজার টাকা রাখায় চারজনকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির রমনা বিভাগের একটি টিম। বাংলামোটরের জহুরা টাওয়ারে অবস্থিত এবিসি করপোরেশনের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় গ্রেফতারদের কাছ থেকে ২৭৫ পিস করোনা টেস্টিং কিট, ৯ হাজার ৫০ পিস সাধারণ মাস্ক, ১০০ পিস এন ৯৫ মাস্ক, ১৯৮ পিস পিপিই, ৯৬০ জোড়া হ্যান্ড গ্লাভস, ২৫০ জোড়া চশমা, ৯০০টি ক্যাপ ও ১৪৪০ টি শু-কাভার উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- আনোয়ার হোসেন, অমিত বসাক, শোয়াইব ও শুভ।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শেখ মোহাম্মদ শামীম বলেন, সন্ধ্যার পর মগবাজার মোড়ের চেকপোস্টে ডিউটি করছিলাম। তখন এক ব্যক্তি এসে অভিযোগ করেন বাংলামোটরের এক ব্যবসায়ী ২০টি মাস্কের মূল্য হিসেবে তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা রেখেছেন, যদিও মাস্কগুলোর প্রকৃত মূল্য মাত্র ৩ হাজার ৬০০ টাকা।
বিষয়টি আমলে নিয়ে এবিসি করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী পাওয়া যায়। যার মধ্যে করোনা টেস্টিং কিটও রয়েছে যা বেসরকারিভাবে পাওয়ার কথা নয়। চক্রটি অধিক মুনাফার লোভে অতি জরুরি এসব পণ্য অবৈধভাবে গুদামজাত করে রেখেছে।
শাহাবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগে তাদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫/২৫(বি) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম