করোনা এড়াতে গত ১২ এপ্রিল থেকে বরিশাল নগরীরসহ পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হলেও দিন দিন মানুষ বাড়ছে রাস্তাঘাটে। ক্রমেই অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছেন তারা। এ কারণে নানা প্রয়োজনে এবং অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছেন বরিশালের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
বুধবার দশম দিনেও বরিশাল নগরীর সদর রোড, বাজার রোড, পুলিশ লাইন রোড, পোর্ট রোড, বগুড়া রোড, হাসপাতাল রোড, বান্দ রোড সিএন্ডবি রোড, নবগ্রাম রোড, নুথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল এবং নদী বন্দর এলাকায় আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি মানুষ দেখা গেছে। রিকশা, অটোরিকশা, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত যান, এমনকি পায়ে হেঁটেও মানুষকে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে এবং সড়ক মোড়ে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অপ্রয়োজনীয় যান আটকে দিচ্ছে।
এদিকে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে ওষুধ এবং মুদী ব্যতীত রড-সিমেন্ট, মোবাইল ফোন, ইলেক্ট্রনিক্স এবং কসমেটিক্সসহ এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় অনেক দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে নগরীর অনেক এলাকায়।
রাস্তায় বের হওয়া মানুষজন জানায়, বাসার বাজার, ওধুষ, ব্যাংকিং, অফিসের চাপসহ নানা পারিবারিক ও ব্যক্তিগত এবং দাপ্তরিক প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তবে প্রয়োজনটুকু সেরেই তারা বাসায় ঢুকে যান। করোনা সংক্রামনের ঝুঁকি থাকায় তারা অযথা ঘোরাফেরা করেন না বলে দাবী করেন।
তবে কিছু মানুষ রাস্তায় বের হওয়ার প্রকৃত সদুত্তর দিতে পারেনি, তারা নানা অজুহাতে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ান।
সকালের দিকে রাস্তায় বের হওয়া মানুষ দুপুরের পর আস্তে আস্তে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর নগরীর রাস্তাঘাট অনেকটা জনশূন্য হয়ে পড়ছে। রাতের বরিশালে অনেকটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে লকডাউন।
এদিকে লকডাউন উপক্ষো করে দিনের বেলা রাস্তায় বের হওয়া মানুষের সংখ্যা বরিশালের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ ভাগ বলে দাবী করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম। এই মানুষগুলো একান্ত প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছেন। পুলিশ সহ প্রশাসন লকডাউন শতভাগ বাস্তবায়নে চেষ্টা করছে বলে ওসি নুরুল ইসলাম জানান।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন