পোশাক কারখনা, শো-রুম, বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এক লাখ ৭ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ডবাজার, টঙ্গী বিসিক এলাকা, ভুরুলিয়া, শিমুলতলী, পূর্ব জয়দেবপুর, হাড়িনাল, দক্ষিণ ছায়াবীথি, ধীরাশ্রম ও ভোগড়া বাইপাস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী জানান, টঙ্গী বিসিক এলাকায় একটি পোশাক শিল্প কারখানা বাইরের গেটে তালা দিয়ে ভেতরে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না করে কারখানায় পুরোদমে কাজ চালু রাখায় দণ্ড বিধি, ১৮৬০ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। গত ১৪ এপ্রিলও ওই প্রতিষ্ঠানকে একই অপরাধে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছিল।
বোর্ড বাজার এলাকায় জরুরি পণ্য না হওয়া সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে প্লাস্টিকসহ অন্যান্য পণ্যের শো-রুম খোলা রাখায় দণ্ড বিধি, ১৮৬০ মোতাবেক ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া বোর্ডবাজার এলাকায় বাজার সংলগ্ন ফুটপাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব না রেখে বিক্রয়যোগ্য পণ্য নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বসে পড়ায় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ে, যা এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশের ব্যত্যয়। উক্ত অপরাধের জন্য দণ্ড বিধি, ১৮৬০ মোতাবেক ৫ জনকে পনের শত টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
বাজার মনিটরিং-এর অংশ হিসেবে দোকানে হালনাগাদ মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ মোতাবেক একজনকে পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় সেনাবাহিনীর ৯ম পদাতক ডিভিশনের ১৮ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটেলিয়নের পক্ষে লে. জাহিদ এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে এএসপি মাজহারসহ তাদের নিজ নিজ বাহিনীর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বোর্ড বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি শাহাদাত হোসেন ও টঙ্গী জোনের এসি থোয়াই অংপ্রু উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন