চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে রাজধানীর বাড্ডা প্রগতি সরণির একটি অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে ১৮ বছরের তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সহযোগী দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে ঐ তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, মেয়েটির বাড়ি পটুয়াখালী। উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর চাকরির উদ্দেশ্যে গত ৯ দিন আগে বাড্ডা হোসেন মার্কেটের পেছনে ময়নারবাগ এলাকায় তার এক পরিচিতের বাসায় আসে। সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই যুবক তাকে প্রগতি সরণির শেল্টার সিকিউরিটি সার্ভিসেস বিডি লিমিটেডে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) তাকে প্রগতি সরণির গ ৯৭/১ নম্বর এই ভবনের চারতলার ওই কম্পানির অফিসে নিয়ে যান।
তিনি জানান, ওই ব্যক্তি অফিসের দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করেন এবং দ্বিতীয় আসামি অপারেশন ম্যানেজার শহিদুল হক (৪৫) রুমের দরজা বাইরে থেকে তালা আটকে দেন। সিকিউরিটি কম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাহিদ হাসানও ধর্ষণে সহায়তা করে। বেলা আড়াইটার দিকে ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর কিশোরী লজ্জায় কাউকে কিছু না বলে পরিচিতের ওই বাসায় চলে যান এবং পরবর্তীতে অন্য একটি অনলাইন শপিংয়ে চাকরি নেন। সেখানে চাকরিরত অবস্থায় সহকর্মীদের কাছে ঘটনা খুলে বলেন। সহকর্মীরা তাকে নিয়ে শুক্রবার রাতে বাড্ডা থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত জানায় এবং ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে পুলিশ জানায়, অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সহায়তাকারী দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও মূল আসামিকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক