১৪ আগস্ট, ২০২০ ১৫:০৭

ড্রাগন চাষে বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সাফল্য

রাহাত খান, বরিশাল:

ড্রাগন চাষে বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সাফল্য

পরীক্ষামূলক ভাবে বারি-১ জাতের ড্রাগন চাষ করে সাফল্য পেয়েছে বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। দক্ষিণাঞ্চলের মাটি এবং আবহাওয়া চাষাবাদের উপযোগী বিদেশী জাতের বারি-১ ড্রাগন এখন কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। একবার চারা রোপন করলে টানা ২০ থেকে ৩০ বছর ফলন পাওয়া যায় বারি-১ জাতের ড্রাগনের। 

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, বারি-১ জাতের ড্রাগন বরিশালের মাটিতে চাষের উপযোগী। আবহাওয়াও অনুকূলে। পরীক্ষামূলক চাষ সফল হয়েছে। এখন কৃষক পর্যায়ে ড্রাগন চাষ ছড়িয়ে দেয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। 

গবেষনা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক সহকারী তপন কুমার দাস জানান, বারি-১ ড্রাগন চাষের শুরুতে রয়েছে কিছু নিয়মকানন। প্রথমে গর্ত তৈরী করে ১৫ থেকে ২০ কেজি শুকনো গোবর সার, ৩০০ গ্রাম টিএসপি ও দেড়শ’ গ্রাম এমপি সার দিয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন রেখে দিতে হবে। এরপর প্রতিটি বেডে একটি আরসিসি পিলার স্থাপন করে চারপাশে ৪টি চারা রোপন করতে হয়। চারা রোপনের দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ড্রাগন ফল ধরবে। ফলন ধরার এক থেকে দেড় মাসের মাথায় লাল রংয়ের ফল সংগ্রহ করা যায়। 

কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের আরেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুরমা দাস সেতু বলেন, একবার ড্রাগনের চারা রোপন করলে টানা ২০ থেকে ৩০ বছর ফলন পাওয়া যায়। মে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতি বছর ফলন হয়। প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ৩০টি ফল হয়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন ৩৫০ গ্রাম থেকে ৪শ’ গ্রাম। এই ফলের পুস্টিগুন অনেক বেশী। ক্যান্সার প্রতিরোধেও ড্রাগন বেশ কার্যকরী। ডায়াবেটিস রোগীরাও অনায়াসে এই ফল খেতে পারবেন বলে তিনি জানান। 

আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম বলেন, ফসলী জমি ছাড়াও বসত বাড়ির আঙ্গিনা এবং আশপাশের পতিত জমিতে ড্রাগন চাষ করা সম্ভব। এই ফলের বাজার মূল্যও অনেক বেশী। বারি-১ জাতের ড্রাগন চাষ করলে কৃষক অধিক লাভবান হবে। তাই বারি-১ জাতের ড্রাগন চাষ করার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান এই কৃষি বিজ্ঞানী। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর