রাজশাহীর মোহনপুরে যৌতুকের দাবিতে জান্নাতুন ফেরদৌস রিমা (১৫) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পাঁচজনের মধ্যে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, গৃহবধূর শ্বাশুড়ি রেনুকা বেগম (৪৫) ও ননদ শাকিলা ওরুনা (২৬)।
উপজেলার মৌগাছি পশ্চিমপাড়া গ্রাম থেকে সোমবার রাতে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যৌতুকের দাবিতে রিমাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আনারুল ইসলাম বাদী হয়ে রিমার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদসহ পাঁচজনকে আসামি করে মোহনপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।
গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে আবির রায়হান (২৪) সঙ্গে এক বছর আগে পবা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের মেয়ে রিমার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বাবার বাড়ি থকে ৩ লাখ যৌতুকের জন্য রিমাকে চাপ দিতে থাকে স্বামী আবির রায়হান। দেড় লাখ টাকা দিয়েছেন বলে জানান গৃহবধূ রিয়ার বাবা। তিনি বলেন, বাকি দেড় লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় ‘আমার মেয়ে রিমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুই আসামি গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ