শিরোনাম
- জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বলেশ্বর নদীতে নৌ-র্যালি
- আওয়ামী লীগের যেকোনো কর্মকাণ্ড অপরাধ বলে গণ্য হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল
- একাত্তরের মতো জুলাইকে নিয়ে একটা শ্রেণি ব্যবসা শুরু করেছে : শিবির সভাপতি
- আশুগঞ্জে ১২০ কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী গ্রেফতার, পিকআপ জব্দ
- সাংবাদিকদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: মুন্সীগঞ্জে ফারুক ওয়াসিফ
- কোনো অপশক্তিই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না : আইজিপি
- পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল
- জনগণকে যারা বাদ দিয়েছে, তারাই আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন : খোকন
- রূপগঞ্জে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
- ৫০০ মিটার সেতুর অভাবে তিন জেলার মানুষের ভোগান্তি
- নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ চালু
- নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা-র্যালি
- হুথিদের হামলা বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের
- নির্বাচিত সরকার ভোলার গ্যাস সমস্যার সমাধান করবে : শিল্প উপদেষ্টা
- ৭৭ বছরে পা দিলেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস
- আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
- স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
- বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান
ঢাকাইয়া আজিজ হত্যা মামলা
খুলনার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ সিকদারের সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন
রাজধানীর লালবাগের কাচ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে বরিশালের গৌরনদীর ভনচড়া এলাকার আহম্মদ আলী সরকারের ছেলে জয়নাল সরকারকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের উমাকাটি এলাকার মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তারা দু'জনেই পলাতক ছিলেন। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামি জামাই ফারুক ও ইদ্রিসকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার প্রধান আসামি খুলনার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারকে অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় এবং আরেক আসামি লস্কর মো. লিয়াকত মারা যাওয়ায় মামলার বিচার চলাকালে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, যে রাজসাক্ষীর উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সবার মুত্যুদণ্ড চেয়েছিল, তিনি তদন্ত কর্মকর্তা বা হাকিমের সামনে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জামাই ফারুক বা ইদ্রিসের নাম বলেননি। রাষ্ট্রপক্ষ অন্য কোনোভাবে তাদের অপরাধ প্রমাণ করতে না পারায় দীর্ঘ ২২ বছর কারাগারে থাকা এই দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, পুরাণ ঢাকার কাচ ব্যবসায়ী আজিজ চাকলাদার ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৭টায় ঢাকার লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই মো. বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। ঘটনার ১২ দিন পরে মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু। এ মামলার তদন্তের মধ্যেই খুলনার রূপসা নদী থেকে এক ব্যক্তির মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে খুলনার খালিশপুর থানার অন্য একটি মামলার জব্দ তালিকা থেকে জানা যায়, সেগুলো আজিজের।
লালবাগ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাকিব খান এ মামলার দ্বিতীয় তদন্তক কর্মকর্তা হিসেবে ২০০০ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, খুলনার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের নির্দেশে ঢাকাইয়া আজিজকে খুন করা হয়। ওই অভিযোগপত্রে সাতজনকে আসামি করা হলেও মাকসুদ ও আমানুল্লাহকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
ওই সাত আসামি হলেন- খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী। এছাড়া নূরে আলমকে রাষ্ট্রপক্ষ রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে। ফলে তাকেও আর বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর