শিরোনাম
- ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী নৈরাজ্য সৃষ্টির করলে জনগণই প্রতিরোধ করবে : আইজিপি
- রাজধানীতে আওয়ামী লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
- যমুনামুখী প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিলে পুলিশের বাধা
- অলিম্পিক ২০২৮-এ ক্রিকেট ফিরলেও ধোঁয়াশায় বাংলাদেশ-পাকিস্তান
- ভোট ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ ইসির
- বিচারক সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের ব্যাখ্যা দিতে পারেন না : প্রধান বিচারপতি
- নবীনগরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালি
- রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালো চলবে : গভর্নর
- মানিকগঞ্জে অবশেষে ধরা পড়লো বিশাল আকৃতির সেই কুমির
- আইসিসিবিতে চলছে ইলেকট্রিক গাড়ি-বাইক ও মেডিকেল প্রযুক্তির প্রদর্শনী
- শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ
- ডায়াবেটিস-হৃদ্রোগীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হতে পারে মার্কিন ভিসা
- ক্লিনিক্যাল বর্জ্যে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রংপুর নগরবাসী
- বৈষম্যবিরোধী আইন প্রবর্তনে দলগুলোকে অঙ্গীকারের আহ্বান দেবপ্রিয়র
- চার লাখ যথেষ্ট নয়, শামির কাছে ভরণপোষণ বাবদ ১০ লাখ দাবি হাসিনের
- অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় হারে সেমির স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের
- শিক্ষকদের আন্দোলনে পড়াশোনার ক্ষতি হলে কঠোর ব্যবস্থা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
- গোপালগঞ্জে প্রণোদনার বীজ-সার পেল ২৮২০ কৃষক
- লেবাননে হাসপাতালের কাছে ড্রোন হামলা চালাল ইসরায়েল
- ঢাকার আকাশ সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘলা থাকতে পারে
ঢাকাইয়া আজিজ হত্যা মামলা
খুলনার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ সিকদারের সহযোগীর মৃত্যুদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন
রাজধানীর লালবাগের কাচ ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে বরিশালের গৌরনদীর ভনচড়া এলাকার আহম্মদ আলী সরকারের ছেলে জয়নাল সরকারকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের উমাকাটি এলাকার মৃত মন্তাজ উদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তারা দু'জনেই পলাতক ছিলেন। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামি জামাই ফারুক ও ইদ্রিসকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার প্রধান আসামি খুলনার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারকে অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় এবং আরেক আসামি লস্কর মো. লিয়াকত মারা যাওয়ায় মামলার বিচার চলাকালে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, যে রাজসাক্ষীর উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সবার মুত্যুদণ্ড চেয়েছিল, তিনি তদন্ত কর্মকর্তা বা হাকিমের সামনে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জামাই ফারুক বা ইদ্রিসের নাম বলেননি। রাষ্ট্রপক্ষ অন্য কোনোভাবে তাদের অপরাধ প্রমাণ করতে না পারায় দীর্ঘ ২২ বছর কারাগারে থাকা এই দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, পুরাণ ঢাকার কাচ ব্যবসায়ী আজিজ চাকলাদার ১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ সকাল ৭টায় ঢাকার লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই মো. বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। ঘটনার ১২ দিন পরে মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন বাচ্চু। এ মামলার তদন্তের মধ্যেই খুলনার রূপসা নদী থেকে এক ব্যক্তির মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে খুলনার খালিশপুর থানার অন্য একটি মামলার জব্দ তালিকা থেকে জানা যায়, সেগুলো আজিজের।
লালবাগ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাকিব খান এ মামলার দ্বিতীয় তদন্তক কর্মকর্তা হিসেবে ২০০০ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, খুলনার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের নির্দেশে ঢাকাইয়া আজিজকে খুন করা হয়। ওই অভিযোগপত্রে সাতজনকে আসামি করা হলেও মাকসুদ ও আমানুল্লাহকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
ওই সাত আসামি হলেন- খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, মো. নূরে আলম, ইদ্রিস জামাই, জয়নাল, জামাই ফারুক ও মো. রুস্তম আলী। এছাড়া নূরে আলমকে রাষ্ট্রপক্ষ রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে। ফলে তাকেও আর বিচারের আওতায় আনা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর