বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- লাগামহীন লুটপাট আওয়ামী লীগ আমলের বড় নির্দেশক : উপদেষ্টা আসিফ
- জুভেন্টাসে পাড়ি জমালেন কানাডার রেকর্ড গোলস্কোরার
- তুরস্কে তিন বিরোধীদলীয় মেয়র গ্রেফতার
- এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও কীভাবে চিনবেন?
- মেসির জোড়া গোলে দাপুটে জয় মায়ামির
- চাইলেই লুকানো যাবে ইনস্টাগ্রাম পোস্টের লাইক সংখ্যা
- যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে খামেনি
- হোসনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
- আগস্ট থেকে তেলের উৎপাদন বাড়াবে ওপেক প্লাস
- রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করলেন ইলন মাস্ক, দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’
- ২৫ বছর পর পাকিস্তানে কার্যক্রম বন্ধ করলো মাইক্রোসফট
- স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নিজের মুখপাত্রকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু
- গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে নিহত ৭৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৬ জুলাই)
- শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
- টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
- নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
- মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
- তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
মোবাইলের মাধ্যমে শনাক্ত হলো খণ্ডিত লাশের পরিচয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীর বাগমারায় একজনের খণ্ডিত লাশের পরিচয় মিলেছে পাশে পড়ে থাকা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে। সেই ফোনের মাধ্যমে শনাক্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের বাজেকোলা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম (৫২)। পরে পরিবারের লোকজনকে ফোন করে জানানো হলে তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করে দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যান। ট্রেনের নিচে মাথা দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে পরিবার ও এলাকার লোকজন জানিয়েছেন। তবে কোন ট্রেনে তিনি কাটা পড়েছেন তা জানা সম্ভব হয়নি।
পরিবারের লোকজন জানান, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রফিকুল ইসলাম। বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন তার সন্ধানের চেষ্টা করেও পাননি। মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করেও অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সোমবার ভোরে বাড়ি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে উপজেলার বীরকুৎসা রেলওয়ে স্টেশনের লাশে তার খণ্ডিত লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। লাশের মুখমণ্ডল বিকৃত অবস্থায় থাকায় তার পরিচয়ও উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়। তবে লাশের পাশে একটি বন্ধ মোবাইল ফোন দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তা চালু করে পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। সকাল ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোবাইল ও পোশাক দেখে ওই খণ্ডিত লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ওই গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, লাশের মাথা ও মুখমণ্ডল থেঁতলে যাওয়াতে তাকে শনাক্ত করতে সময় লেগেছে। তবে মোবাইল ফোন ও পোশাকের কারণে তাকে শনাক্ত করা সহজ হয়েছে। মানসিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে জানান তিনি।
নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা খাতুন বলেন, তার স্বামী জমি-জমা বিক্রি, ঋণ করে ও জমানো টাকা খরচ করে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছিলেন। তবে প্রতারিত হয়ে দেশে ফেরার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এসব চাপে তার স্বামী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান। তাদের কোনো শত্রু বা কারোর সঙ্গে বিরোধ ছিল না।
স্থানীয় যোগীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আবদুর রহিম বলেন, তারা বিষয়টি শুনেছেন। তবে ঘটনাস্থল তাদের এলাকায় হলেও এটা রেলওয়ে পুলিশ দেখভাল করেন। সেখানে অপমৃত্যু মামলা হবে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর