ঢাকা-১৮ উপ-নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের উত্তরখান মাজার থেকে গণসংযোগ শুরু কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছে। গত ২৪ অক্টোবর থেকেই পুলিশের অনুমতি নিয়ে এস এম জাহাঙ্গীর যেখানেই কর্মসূচি দিচ্ছে সেখানে আওয়ামী লীগ হয় পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে অথবা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা হাতে মহড়া দিচ্ছে অথবা ধানের শীষের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করছে। এভাবেই এস এম জাহাঙ্গীরকে গণসংযোগে বাধা দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের বাধা সত্ত্বেও ধানের শীষ তথা ঢাকা-১৮ আসনে জাহাঙ্গীরের গণসংযোগ মানেই হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতি।
বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে যখন বিকল্প সড়কে গণসংযোগে নামেন তখন ধানের শীষের পক্ষে জনস্রোত বয়ে যায়।
উত্তরা ৮ নং সেক্টরের মালেকাবানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন,আইচি হাসপাতাল, মহিলা ও শিশু হাসপাতাল,পল্লী বাজার এলাকায় গণসংযোগ গণসংযোগ শেষে পলওয়েল শপিং মলের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা কোনো ঝামেলায় জড়াতে চাইনা। আপনারা দেখছেন, আমরা যেখানে কর্মসূচি দিচ্ছি, সেখানে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচিসহ নানাভাবে বাধা দিচ্ছে। তা সত্ত্বে যেখানে যাচ্ছি ধানের শীষের পক্ষে জনসমূদ্র হয়ে যাচ্ছে। শক্তি সামর্থ ও জনসমর্থণ থাকার পরও আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি এবং সেপথেই আছি।
ধানের শীষের এ প্রার্থী বলেন, আমরা সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে মিটিং করেছিলাম। তিনি আমাদের কথা দিয়েছিল বৈঠকের দিন ২৭ অক্টোবরের পর থেকে আপনারা প্রশাসনের সাথে কথা বলে যেখানে যেভাবে কর্মসূচি দিবেন তা করতে পারবেন কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আমরা শুধু দেখেছি, সিইসি আমাদের যে কথা দিয়েছিল তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না করেন, এলাকায় যদি গণসংযোগ করতে না পারি, জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কোনো রকম বিশৃঙ্খলা হবে না, আওয়ামী লীগ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে-তা আমরা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এলাকায় ভোট চাইতে পারবো না, এলাকায় গণসংযোগ করতে পারবো না তাহলে কিন্তু আমাদের ওই সিইসি’র অফিসে বসে থাকা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
এই গণসংযোগে জাহাঙ্গীরের সাথে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, যুবদলের মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু, সোহেল আহমেদ, মহানগর বিএনপি নেতা আবদুল আলীম নকি, স্বেচ্ছাসেবক দলের ফখরুল ইসরাম রবিন, বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আইয়ুব হোসেনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।
উপস্থিত নেতাকর্মী ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের ভোট। এখান থেকেই গণতন্ত্রেও যাত্রা, ভোটাধিকারের যাত্রা এবং বিএনপির বিজয়ের যাত্রা শুরু হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন