২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ২০:০২

ডিএসসিসির হিসাবরক্ষণ দফতরে হামলা; ৪ শ্রমিক বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক

ডিএসসিসির হিসাবরক্ষণ দফতরে হামলা; ৪ শ্রমিক বরখাস্ত

বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার দফতরে হামলার অভিযোগে ৪ জন দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মরত শ্রমিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) সংস্থার সচিব আকরামুজ্জামান সাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া হামলায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে সংস্থার স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি এম এ গনি ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া শ্রমিকরা হচ্ছেন অঞ্চল-৫ এর ৫১ ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন কর্মরত স্কেলভুক্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো. হারুন মিয়া, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী (ট্রাক) মো. আলী মিয়া, অঞ্চল-২ এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী (ট্রাক) মোহাম্মদ আলী সোহরাব ও অঞ্চল-১ এর ১৬ নং ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত শ্রমিক মো. হাসু।
 
ওই আদেশে বলা হয়েছে, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতা কর্মী এম এ গনি ও মো. আব্দুল লতিফসহ ৩৫/৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী গত ২০ জানুয়ারি আনুমানিক বিকেল ৩টার দিকে প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার দফতর উপস্থিত হয়ে বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন এবং তাদের (এম এ গনি ও মো. আব্দুল লতিফ) ইঙ্গিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো. হারুন মিয়া, মো. আলী মিয়া, মোহাম্মদ আলী সোহরাব এবং মো. হাসু প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আলী হোসেনকে মারধর করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য অত্র করপোরেশন হতে নিম্নোক্ত দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োজিত ৪ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।’

এদিকে যাদের ইঙ্গিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শুধু কারণ দর্শাও নোটিশেই সীমাবদ্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া ঘটনার সঙ্গে ৩৫/৪০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী জড়িত বলেও তাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে বাদ দিয়ে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত সাধারণ চারজন কর্মীকে কর্মচ্যুত করায় বিষয়টি নিয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন অনেকেই। তবে কর্মচ্যুত হওয়ার ভয়ে তারা কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, আমাদের কর্মীদের বেতন দেরি হচ্ছে। সে কারণে আমরা কর্মীরা হিসাব বিভাগে গিয়ে যোগাযোগ করলে সেখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। এ কারণে চারজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আশা করি তারা এই আদেশ প্রত্যাহার করবেন। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর