'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি'। অমর একুশ আমাদের চেতনার অংশ, স্বকীয়তার প্রতীক। তাই তো ফেব্রুয়ারি এলে বরাবরের ন্যায় আমরা ফিরে যাই শিকড়ে! রঙ্গিন হই একুশের রঙ্গে।
দিন পেরিয়ে রাত গড়ালেই আসবে ২০২১ সালের একুশের ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অমর একুশে উদযাপনে ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শেষ মুহুর্তে চলছে আলপনা আঁকার কাজ।
শহীদ মিনার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইতোমধ্যেই মুল বেদিতে আলপনা আঁকা শেষ হয়েছে। এখন চলছে আশেপাশের রাস্তাগুলো রাঙ্গিয়ে তোলার কাজ। শহীদ মিনারের পূর্ব দিকের রাস্তায় বড় আকারের তিনটি আলপনা আঁকার কাজও প্রায় শেষ। লাল-সবুজ আর সাদার মিশেলে শোভা বাড়াচ্ছে এসব আলপনা। এছাড়ার উত্তর দিকের রাস্তার দেয়ালে লেখা হচ্ছে একুশ ও ভাষার গুরুত্ববাহী কবিতার পঙক্তি।
এদিকে, করোনার কারণে একুশের উদযাপন এবার কিছু বিধি-নিষেধের দোলাচলে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত এবার সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন আর ব্যক্তিপর্যায়ে দুই জন স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারবেন। ফলে কেউ কেউ আজকেই আসছেন শহীদ মিনারে। তবে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা করছেন না অনেকে।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট এলাকার নিরাপত্তার জন্য মোতাহার হোসেন ভবন এলাকায় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। এছাড়াও শহীদ মিনারে আসার রাস্তাগুলোতে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
শহীদ মিনার এলাকা ঘুরে দেখছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান। কথায় কথায় তার প্রত্যাশার কথা জানালেন, বাংলাদেশের জন্মের প্রথম পরিস্ফুটন বলা যায় বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিকে। ভাষার জন্য বাঙালির এই আত্মত্যাগ জাতি শ্রদ্ধার সাথে পালন করে আসছে। আগামীকালও বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব ক'টি দেশ একই সাথে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে। আমি চাই একুশের চেতনায় জাগ্রত হয়ে বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা আামাদের ভাষার সম্মান রক্ষা করবো।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন