রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালক শ্যাম কিশোর রায়কে বদলি করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আবদুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়।
এদিকে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে শ্যাম কিশোর রায়ের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। যার কারণে বিএমডিএ’র সর্বোচ্চ এই কর্মকর্তার বদলির আদেশে রাজশাহীর মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে বিএমডি’র কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী তার বদলির আদেশ শুনে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
বিএমডিএ সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তা শ্যাম কিশোর রায় ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠে। বিশেষ করে তার মদদে প্রকৌশলীদের মধ্যে বিভক্তি, কর্মচারী ইউনিয়ন নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, বিপুল অঙ্কের টাকার অডিট আপত্তি, অডিট আপত্তি নিষ্পত্তিতে ধীরগতি, সিন্ডিকেটের আধিপত্য বিস্তারসহ বিএমডিএতে নানা অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
এছাড়া করোনাকালে সাধারণ ছুটির পরও হাতে গোনা দুই-এক দিন তিনি অফিস করে বাসায় বসেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্রে স্বাক্ষর করেন। এমনকি নিজের বাসাতেই ঠিকাদারি সিন্ডিকেট পরিচালনার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
তার বদলির আদেশের খবরের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের রাজশাহী মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম রেজা বাইরোন বলেন, বিএমডিএ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালকের কর্মকাণ্ডে তার যোগদানের পর থেকেই চরম স্থবিরতা নেমে এসেছিল।
এই প্রতিষ্ঠানটি উত্তরাঞ্চলের কৃষিখাতে যুগোপযোগী ও কার্যকর ভূমিকা রেখে আসছিলো। কিন্তু তার কারণেই সেই ভূমিকায় চরম ফাটল ধরেছিল। তবে তার বদলি হয়ে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি আবারও প্রাণ ফিরে পাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, নির্বাহী পরিচালকের বদলীর খবরে তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর