ইরানের তেল রপ্তানি ও ব্যাংকিং খাতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে নীতিগত সমঝোতা হয়েছে। ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা বিষয়ক আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি।
ইরানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া আরাকচি শনিবার বিকেলে ভিয়েনায় বলেছেন, ইরানের বেশিরভাগ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে নীতিগত ঐক্যমত্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ভিয়েনা বৈঠকে এ পর্যন্ত যেসব নীতিগত সমঝোতা হয়েছে তার ফলে ইরানের জ্বালানী খাত অর্থাৎ তেল ও গ্যাস, গাড়ি নির্মাণ শিল্প ও ব্যাংকিং খাতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
আরাকচি আরও জানান, পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে কিছু খুঁটিনাটি বিষয়ে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে যা নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে পাশ্চাত্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন। এরপর এক বছর পর্যন্ত ইরান এই সমঝোতা বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল কিন্তু অন্য পক্ষগুলো সমঝোতা বাস্তবায়ন না করায় ৩৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইরান সমঝোতার বেশকিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেয়।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দেশকে এই সমঝোতায় ফিরিয়ে আনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তিনি ইরানকে আগে তার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু ইরান সাফ জানিয়েছে, আমেরিকা আগে এই সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে তাকে আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এতে ফিরে আসতে হবে। ইরান ও আমেরিকার মধ্যকার মতপার্থক্যের এই জায়গাটি নিয়ে মূলত ভিয়েনায় ধারাবাহিক সংলাপ চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর