বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত চারজনকে আটক করেছে। পুরো ঘটনা তদন্ত করে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন জেলা পুলিশ সুপার।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের সলদি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের সলদি গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধুলখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালাম বেপারী এবং ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক জামাল রাঢ়ী। উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিবাদমান ওই দু'পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানে কালাম ও জামালের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে উত্তেজনা দেয়। এরই জের ধরে সংঘর্ষ বেধে যায় দুই গ্রুপের মধ্যে।
উভয়পক্ষ লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই আওয়ামী লীগ কর্মী সিদ্দিকুর রহমান (৫০) নিহত হয়। আহত হয় আরও অন্তত ৬ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুস সাত্তার ঢালীকে (৫৭) বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়। আহত অন্যদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলা-সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, মেহেন্দিগঞ্জের উত্তর উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এর আগেও একাধিকবার হামলা-সংঘর্ষ ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় এর আগেও একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। সহিংসতার কারণে উত্তর উলানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থাগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত