ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যার সমাধান করা হবে, ডিএনসিসির নতুন অঞ্চলগুলোতে হবে নব দিগন্তের সূচনা।
সোমবার বিকালে গুলশানের নগর ভবনে ডিএনসিসির নতুন ১৮ টি ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসণকল্পে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় ডিএনসিসি মেয়র একথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বর্ধিত মহানগরীর নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক, অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও উন্নয়নে প্রায় ৪ হাজার ২৬ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে।
ডিএনসিস মেয়র বলেন, অন্যান্য বছর সামান্য বৃষ্টিতেই ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ডুবে যেতো, জলজটে নগরবাসীকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু এবার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতেও নগরবাসীকে জলজট সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, পহেলা জুন ঢাকায় প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় ধরে রেকর্ড ৮৫ মিলিমিটার পরিমাণ বৃষ্টিপাত হলেও দ্রুততম সময়ের মধ্যেই নগরবাসীকে জলজট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, নতুন ও পুরাতন উভয় অঞ্চলের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই সাধারণ ও সংরক্ষিত মোট ৭২ জন কাউন্সিলরের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা করে থোক বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-১৮ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম সাইদুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন