২ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৫৫

'কিশোরী ও নারীদের করোনা পরবর্তীকালের বিপর্যয় কাটাতে প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'কিশোরী ও নারীদের করোনা পরবর্তীকালের বিপর্যয় কাটাতে প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে'
করোনা মহামারি চলাকালে দেশের শ্রমবাজারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনানুষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে কিশোরী ও নারীদের উপর। তাই দক্ষতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমবাজারে তাদের অংশগ্রহণকে বিশেষভাবে প্রাধ্যান্য দিতে হবে। 
 
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির (এসডিপি) আয়োজনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। 
 
"অনানুষ্ঠানিক খাতে দক্ষতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিশোরী ও নারী প্রশিক্ষণার্থীদের উপর কোভিড-১৯ প্রতিকূলতা মোকাবেলা" শীর্ষক এই সভা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে. এম. তরিকুল ইসলাম। বিশেষ  অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। 
 
ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট-এশিয়া, পিআরএল এবং মনিটরিং বিভাগের পরিচালক জনাব এএফএম শহীদুর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের পর কিশোরী এবং নারীদের বর্তমান অবস্থা, এবং সমাধান হিসাবে অনানুষ্ঠানিক সেক্টরে শিক্ষানবিশ ভিত্তিক প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি অ্যান্ড প্রিভেনটিং ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির পরিচালক নবনিতা চৌধুরী। দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির ইন-চার্জ তাসমিয়া তাবাসসুম রহমান, উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ বিআইজিডি-র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নারায়ণ সি দাস।
 
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন, ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিস ভিরা মেন্ডনকা, অস্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহরিয়ার ইসলাম, ইনফরমাল সেক্টর ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল-এর চেয়ারম্যান মির্জা নুরুল গনি শোভন সিআইপি।
 
বক্তারা বলেন, করোনা মহামারি চলাকালে দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতে নিযুক্ত প্রায় ৫ কোটি ২০ লক্ষ মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে কিশোরী ও নারীদের উপর, যেহেতু বাংলাদেশের মোট নারী শ্রমশক্তির প্রায় ৯১.৮ শতাংশই অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করছে।  
 
সমাপনী বক্তব্যে ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোর্শেদ বলেন, সময়ের  প্রয়োজনে দক্ষতা উন্নয়ন একটি পরিকল্পিত পছন্দ হওয়া উচিত। ঐতিহ্যগত শিক্ষার পরিবর্তে অনেকে দক্ষতা উন্নয়নের শিক্ষাকে বেছে নিতে পারেন।
 
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
 
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর