ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাদের কাওয়ালিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী শামীম বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে হামিদুল ইসলাম, একই ইউনিয়নের হাতকোড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম ও বালিয়া ইউনিয়নের বাইচাইল গ্রামের ময়ছের আলীর ছেলে জসিম উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি একটি সেচ পাম্পের লাইনের জন্যে হামিদুলের দাবি মতো তাকে ৭০ হাজার টাকা দেন কাইয়ুম। সেই টাকা হামিদুল জমা দেয় পল্লি বিদ্যুতের কর্মচারী জসিমের কাছে। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে কুশুরার ডিজিএম প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেনের কাছে একটি তদবিরের কাগজ জমা দেন। তবে ইউএনওর স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ হলে আগের কয়েকটি ফাইলের সাথে স্বাক্ষরটি যাচাই করেন তিনি।
পরে স্বাক্ষর অমিল পাওয়ায় কাগজটি যাচাই করতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের কাছে পাঠান। কৃষি কর্মকর্তা সেটি ইউএনওর কাছে নিয়ে গেলে তিনি জালিয়াতি শনাক্ত করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী শামীম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
কুশুরা জোনাল বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেন, ওই ফাইলে ইউএনও স্যারের স্বাক্ষর দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি যাচাই করি। সেটিই কৃষি অফিসারের মাধ্যমে ইউএনও স্যারের কাছে পাঠাই। পরে বিষয়টি ধরা পড়ে।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অসীম বিশ্বাস বলেন, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, সেচ পাম্পের জন্য বিদ্যুতের মিটার নামানোর ফাইলটি নিয়ে আসলে আমি স্বাক্ষর দেখেই বুঝতে পারি এটা জালিয়াতি করা হয়েছে। পরে পুলিশকে জানিয়ে মামলা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই