বরিশাল নদী বন্দরে প্রবেশের টোল টিকেট বিক্রির পর সেগুলো সংরক্ষণের অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএ’র তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে গত ৩০ জুন এক আদেশে ঢাকার সদরঘাটে বদলি করা হয়েছে।
গত ২৮ জুন বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তারা নদী বন্দরে অভিযান চালিয়ে বিক্রিত টিকেট সংরক্ষণ করে পুনরায় বিক্রির সত্যতা পাওয়ার পর অভিযুক্ত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় বিআইডব্লিউটিএ। সংস্থার পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) কাজী ওয়াকিল নেওয়াজ গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মচারী হলো বরিশার নদী বন্দরের শুল্ক আদায়কারী ফারুক সরদার, মাসুদ হোসেন খান এবং মনির হোসেন।
কাজী ওয়াকিল নেওয়াজ জানান, গত ২ জুলাই বিআইডব্লিউটিএ’র এক অফিস আদেশে ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের’ অভিযোগ ওঠায় তাদের ৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা উল্লেখ রয়েছে আদেশে।
এর আগে গত ২৮ জুন বরিশাল নদী বন্দরে দুদকের একটি দল অভিযান চালায়। তারা নদী বন্দরের ২ নম্বর কাউন্টারে বিক্রি করা ৮৬৩টি টিকিট কাউন্টারের ড্রয়ার ও ঝুলিয়ে রাখা ব্যাগ থেকে উদ্ধার করেন। বিক্রিত ওই সব টিকেট সংরক্ষণ করে ফের যাত্রীদের কাছে বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছিল। একই দিন এক নম্বর কাউন্টারে বিক্রি হওয়া টিকেটের অনুকূলে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়া যায়। একই টিকিট একাধিকবার বিক্রি করায় বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তারা ধারণা করেছেন।
এদিকে ওই ঘটনায় বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকার সদরঘাটে বদলি করা হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করে মো. মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, দুদকের অভিযানের পর তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার দিন মিটিংয়ে আমি ঢাকায় ছিলাম। চাকরিজনিত কারণে তাকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল