ঈদকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে ঈদ যাত্রার শেষ দিনেও রয়েছে যাত্রীদের চাপ। এছাড়া গতকাল শুক্রবার (৮ জুলাই) এর তুলনায় যানবাহনের চাপ বেশি রয়েছে। তবে নেই কোনো যানজট। আজ শনিবারেও যাত্রীদের যানবাহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে গেছে। তবে এদিন যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম রয়েছে। এদিকে যাত্রী ওঠানামা করায় শিমরাইল মোড়ে বাসের জটলা সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র লক্ষ্য করা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র গরমের মধ্যে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার ফলে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এদিকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ থাকায় নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় বেশি ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন মালিকরা। এমনই অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। বেশিরভাগ বাসের হেল্পাররা বেশি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন। কিছু বাসের হেলপার বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তারা ঈদের অজুহাত দেখাচ্ছেন। তারা বলেন, বছরে এই কয়েকটা দিনই আমরা একটু বেশি ভাড়া নেই।
রুমি আক্তার নামের এক বেসরকারি অফিস কর্মকতার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। আমার পরিবার নিয়ে আমি সিদ্ধিরগঞ্জে বসবাস করি। কিন্তু আমার বাবা-মা গ্রামে থাকে। তাই এবার বাবা-মার সঙ্গে একসাথে কোরবানি দিবো ভেবে গ্রামে যাচ্ছি। অনেকটা আনন্দ লাগছে বহুদিন পর বাবা-মার সঙ্গে একসাথে গ্রামে ঈদ করবো।
নোমান সুমন নামে এক যাত্রী জানান, করোনার কারণে গত দুবছর কোরবানির ঈদে গ্রামে যেতে পারিনি। তাই ভোগান্তি হলেও অন্যরকম এক আনন্দ কাজ করছে নিজের মধ্যে।
সাগর হোসেন নামের একজন গার্মেন্ট কর্মীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বছরে দুইটা ঈদ আছে। সারাবছর তো ঢাকাতেই কাটাই। তাই এবার কোরবানির ঈদটা গ্রামে পরিবারের সাথে করবো বলে গ্রামে যাচ্ছি। ছুটি মাত্র ৪ দিন তাই আবার দ্রুতই ফিরে আসতে হবে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, গতকাল শুক্রবারের তুলনায় আজ যাত্রীদের চাপ কম রয়েছে। দুপুরের পর যাত্রীদের চাপ আরো কমে যাবে। আমরা যানজট নিরসনে ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছি। মহাসড়কে আমাদের ৩৫টি টিম কাজ করে যাছে। এখনো পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ