রংপুর জেলার প্রায় ৬ হাজার মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া রংপুর নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ৭৫টিসহ জেলার ১২০০ ঈদগাহ মাঠে ও পাড়ামহল্লার মসজিদ-মাদ্রাসাগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কোনো কোনো মসজিদে ছিল একাধিক ঈদ জামাতের ব্যবস্থা। করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও তা অনেক স্থানে মানা হয়নি।
রবিবার সকাল আটটায় মুফতি কাওসার আহমেদের ইমামতিতে রংপুর নগরীর কালেক্টরেট মাঠে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে ঈদের বিশেষ খুতবা শেষে দেশে শান্তি-সমৃদ্ধি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সম্প্রীতি কামনায় মোনাজাত করা হয়। এতে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন।
নামাজ শুরুর আগে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু। এসময় প্যানেল মেয়র পরিচ্ছন্ন রংপুর মহানগর গড়তে সকলকে নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করাসহ সঠিকভাবে বর্জ্য সংরক্ষণের আহ্বান জানান। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন।
সকাল ৮টায় রংপুর পুলিশ লাইন্স মসজিদ মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলার সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হয়েছে গঙ্গাচড়া উপজেলার তালুক হাবু (৫৭ জামাত) ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে ২৫ হাজারের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন। এছাড়া রংপুর নগরীর আশরাফিয়া জামে মসজিদ, মুসলিমপাড়া ঈদগাহ, কামারপাড়া ঈদগাহ মাঠে সকাল আটটায়, মুন্সিপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
এছাড়াও রংপুর মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মহল্লাভিত্তিক মসজিদ ও বিভিন্ন ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ঈদ জামাতে দোয়া মোনাজাতে মুসলমানদের ওপর দমন, নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ ও মুসলিম উম্মাহর হেফাজতে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
এদিকে, ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে জেলার হাসপাতাল, এতিমখানা, কারাগার ও শিশু পরিবারগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই