রাজশাহীতে এবারও সরকার নির্ধারিত দামে কেনাবেচা হয়নি চামড়া। গরুর চামড়ার দাম কিছুটা পেলেও ছাগলের চামড়ার দামই পাননি অনেকে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা বেশি দামেই চামড়া কিনেছেন। এদিকে চামড়া যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য সতর্ক অবস্থানে স্থানীয় প্রশাসন।
রাজশাহীতে সরকার নির্ধারিত দামের তুলনায় কম দামে বিক্রি হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়া। প্রত্যাশিত দামে নিজেরা বিক্রি করতে না পেরে অনেকেই সরাসরি দান করেছেন মাদ্রাসা অথবা এতিমখানায়। ছোট আকারের ছাগলের চামড়া বিক্রিই করতে পারেননি অনেকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আড়তদারদের বিনামূল্যে দিতে বাধ্য হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজশাহীর রেলগেট আড়তে চামড়া বিক্রি করতে আসা শাহজাহান আলী জানান, পাড়া-মহল্লায় যে দাম, তার চেয়ে আড়তে কম। সরকার নির্ধারিত দামেও চামড়া কিনছেন না আড়তদাররা। সরকার নির্ধারিত দাম অনুসরণ না করে প্রতি পিস গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। আর ছাগলের চামড়া ৫ থেকে ১০ টাকা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন তারা।
রাজশাহী চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জানান, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনেছেন। ফলে তারা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এখন ট্যানারিতে নিয়ে তারা দাম পাবেন কি না সন্দেহ আছে।
দরপতনে অনেকে চামড়া ফেলে দেন বা নষ্ট করে ফেলেন। এটি যাতে না হয়, সেজন্য মাঠ পর্যায়ে তদারকি বাড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। রাজশাহী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অধিদফতরের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, রাগে ক্ষোভে যাতে কেউ চামড়া নষ্ট করে না ফেলেন, সেটি তারা দেখছেন। দামের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অভিযোগ আছে, মূলধন বকেয়ার অজুহাত দেখিয়ে অধিক মুনাফার আশায় বড় আড়তদারদের সিন্ডিকেটে বাজারের দরপতন। যদিও আড়তদাররা দায়ী করছেন ট্যানারি মালিকদের।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর