গ্লোবাল অ্যাক্সেসিবিলিটি অ্যাওয়ারনেস ডে (জিএএডি) হলো এমন একটি সচেতনতা দিবস, যা সারা পৃথিবীতে এক বিলিয়নেরও বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল প্রবেশগম্যতার ব্যাপারে সকলকে সচেতন করে। এর মধ্যে ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করে। প্রতি বছর মে মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার দিবসটি উদযাপন করা হয়। এবারো ১৮ মে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এবং ফ্রেন্ডশিপ (সোশ্যাল পারপাস অর্গানাইজেশন) যৌথভাবে দিবসটি পালন করে। "প্রযুক্তি হবে সকলের জন্য প্রবেশগম্য" এই প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে এটুআই ইতোমধ্যে একাধিক সেমিনার, ইভেন্ট আয়োজন করেছে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নীতি নির্ধারক থেকে সাধারণ নাগরিক সকল পর্যায় সচেতনতা তৈরি করা।
এই দিবসের উদ্দেশ্য হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল (ওয়েব, সফটওয়্যার, মোবাইল, ইত্যাদি) প্রবেশগম্যতা, বিভিন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সহায়ক ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে সকলকে অবহিতকরণ এবং চিন্তার দ্বার উন্মোচন। স্থানীয় পর্যায়ে এই দিবস উদযাপনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা প্রতিবন্ধীবান্ধব ওয়েব, মোবাইল অ্যাপ এবং ডিজিটাল সেবাসমূহ সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। এছাড়াও, সেবা প্রদানকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্ব স্ব ডিজিটাল সেবা প্রবেশগম্য করার বিষয়ে সচেতনতা এবং উৎসাহ পাবেন বলে আশা করা যায়।
চলতি বছর সারা বিশ্বে আয়োজিত হলো দিবসটি এবং সারাবিশ্বের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেশে উদযাপন করা হয়। আইসিটি টাওয়ারের মাল্টিপারপাস মিটিং রুমে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডশিপের ডেপুটি ডিরেক্টর আহমেদ তৌফিকুর রহমান। মানিক মাহমুদের (হেড অফ সোশ্যাল ইনোভেশন ক্লাস্টার, এটুআই) সঞ্চালনা ও এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ এবং বিশেষজ্ঞরা ওয়েব বা ই-সেবার প্রবেশগম্যতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাদের মতামতের মাধ্যমে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সেবা প্রদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে একটি এক্সেসিবিলিটি গাইডলাইন অনুমোদন করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন তখনই সম্ভবপর হবে, যখন নাগরিকের জন্য নাগরিক-বান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সরকারি সেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে। এ লক্ষ্যে অত্র বিভাগের সকল ওয়েবসাইট এবং ডিজিটাল সেবা এ বছরের মধ্যেই প্রবেশগম্য করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানকারী নির্বাচিত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কাজ করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।