রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সভায় ছিলেন না আওয়ামীপন্থী বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। আওয়ামী পন্থী ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এলাকায় না থাকায় স্থানীয় জনগণ কাউন্সিলর অফিসের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প খুঁজছেন অনেকেই। তবে সিটি কর্পোরেশন বলছে পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে মেয়র তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে পারবেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় মেয়রসহ ৪৫ সদস্যের পরিষদের মধ্যে আওয়ামী পন্থী বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের পরে রংপুরের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামীপন্থী বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরাও গা ঢাকা দিয়েছেন। অথচ কদিন আগেও ওই সব কাউন্সিলরা সিটি কর্পোরেশনসহ নিজ নিজ এলাকা দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন।
সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী কাউন্সিলর পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। ওই পরিষদের নেতারা এখন কে কোথায় রয়েছে কেউ বলতে পারছেনা না। তারা দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে ওইসব এলকার মানুষ সিটি কর্পোরেশনের সেবা কিভাবে পাবেন তা নিয়ে চিন্তিত। এছাড়া সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা নিহত হন। ফলে ওই ওয়ার্ডের মানুষ কিভাবে সেবা পাবেন এ নিয়ে অনেকের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলররা এলাকায় না থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক সমস্যার সমাধান কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়বে। ২০৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সিটি কর্পোরেশন ৩৩টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর ও মেয়রসহ ৪৫ জন সদস্য রয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু বলেন, বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর সভায় ছিলেন না। পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে মেয়র তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিবেন। সভায় কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত