ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ জাবেদ (২৩) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তিনি কারাগারে বিক্ষোভের সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এ ছাড়াও পৃথক সময়ে ঢামেকে আরও দুই কারাবন্দীর মৃত্যু হয়েছে । তারা হলেন, হাজতি মোঃ সোহান (২৭) ও কয়েদি অনাদি হাওলাদার (৪৫)।
সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
মৃত জাবেদের বড় ভাই মোঃ ফারুক জানান, গত ৬ আগস্ট কারাগারের ভিতরে আসামিরা বিক্ষোভ করেছিল। সেখানে জাবেদ মুখে ও কানে গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঐ দিনই কারারক্ষিরা তাকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক মিরপুরের ডেন্টালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে, পুনরায় ১১ই আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢামেকের ২০০ ওয়ার্ডে মারা যান জাবেদ। তার বাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার খাড়কি গ্রামে। বর্তমানে মোহাম্মদপুর নবীনগর হাউজিং ১৩ নম্বর রোডে পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। জাবেদের স্ত্রী আকলিমা নয় মাসের অন্তঃসত্তা। পেশায় জাবেদ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় চুরি-ছিনতাই মামলায় গত ৩ মাস আগে আটক হয়ে কারাগারে ছিলেন তিনি।
অপরদিকে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে অসুস্থ অবস্থায় কারাবন্দী (হাজতি) মোঃ সোহানকে কারারক্ষী মেহেদী হাসানসহ কারারক্ষীরা সোমবার দিবাগত রাতে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় কারাবন্দী (কয়েদি) অনাদী হাওলাদারকে মঙ্গলবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, সোহান মতিঝিল থানার মামলা নং-১৪ (৭)২০২৪, জিআর-২০১/২৪, ধারা-৩৯৩/৩৯৮ পি সি মামলায় বন্দী ছিলেন। তিনি সোহান নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার বেলপাড়া গ্রামের মোঃ ইব্রাহীমের ছেলে। বর্তমানে মুগদা এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
মৃত অনাদি হাওলাদার কোন মামলায় বন্দী ছিলেন তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তার বাবার নাম অধির হাওলাদার।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল