ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভুয়া পরিচয় দিয়ে এক রোগীকে চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করতে এসে আটক হলেন এক নারী। তার নাম সামিয়া (৩২)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে আটক করে পুলিশে দেয় বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক এসআই মাহমুদুল হাসান বলেন, বার্ন ইউনিটে সামিয়া নামে এক নারীকে এপ্রোন পরা অবস্থায় আটক করে আমাদের সংবাদ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি নিজেকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে যে, চিকিৎসক না হয়ে এক রোগীর সাথে এসে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকের কাছে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়েছিল। তদন্তের পর তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। তার বাড়ি টঙ্গীর তুরাগ এলাকায়।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা কেরানীগঞ্জের জিনজিরার বাসিন্দা মো. আরমান বলেন, বছর খানেক আগে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে পায়ে আঘাত পাই। পরে দীর্ঘদিন যাবত বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সৌদি প্রবাসী আমার এক খালাতো ভাইয়ের দুঃসম্পর্কের বোন হয় ডালিয়া। বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমার চিকিৎসার সময়ে নিঃস্বার্থে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন। আজ সকালে চিকিৎসার জন্য ফলোআপে আসি ঢামেকের বার্ন ইউনিটে এবং আসার আগে এই আপাকে জানাই। পরে উনাকে নিয়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হই। সেখানে তিনি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ছিলেন কিনা বিষয়টি আমি খেয়াল করিনি। আমার তেমন কোনো পড়াশোনা নেই।
তিনি বলেন, সেখানকার চিকিৎসক তার সাথে ইংরেজিতে কথাবার্তা বলেছিলেন। পরে এক পর্যায়ে সেখানে কর্তব্যরত আনসারদের ডেকে এনে তাদের কাছে তুলে দিয়ে বলেন, তিনি চিকিৎসক না হয়ে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়েছেন। তিনি একজন প্রতারক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, এক তরুণীকে এপ্রোন পরা ও গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি ডা. পরিচয় দিলেও কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তার কাছ থেকে কোনো ধরনের তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। তবে তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে তিনি প্রফেশনাল প্রতারক। তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আইনুযায়ী তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত