গুলশান, বনানীসহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার যেসব বাড়ির পয়ঃবর্জ্য সরাসরি খাল, লেক কিংবা জলাশয়ে ফেলা হয়, সেসব বাড়ির দেয়ালে লাল রঙে চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি’র প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শনিবার রাজধানীর গুলশান সোসাইটি লেকপার্কে ডিএনসিসি, গুলশান, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক গণশুনানি ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রশাসক জানান, রাজউকের নকশা অনুযায়ী প্রতিটি বাড়িতে সেফটিক ট্যাঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু গুলশান-বনানীর অনেক বাড়িতে তা না থাকায় তাদের পয়ঃবর্জ্য সরাসরি সিটি কর্পোরেশনের স্টর্ম ড্রেনের মাধ্যমে খালে গিয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে এসব বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ঈদ উল আজহার পর তাদের দেয়ালে লাল রঙ করে চিহ্নিত করা হবে।
এছাড়া ঈদের পর গুলশান ও বনানীর রাস্তা ও ফুটপাত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনারও ঘোষণা দেন তিনি।
সভায় কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সোসাইটির সহযোগিতা চেয়ে প্রশাসক জানান, ঈদের পর গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করে সংশ্লিষ্ট সোসাইটিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রশাসক আরও বলেন, “সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি ন্যায্য ও বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে হবে।” তিনি জানান, সম্প্রতি ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক শহরে রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এসময় তিনি বিমানবন্দরের পাশে একটি "আর্বান রিজার্ভ ফরেস্ট" গড়ে তোলার কথাও জানান।
হোল্ডিং ট্যাক্স বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এখন থেকে নগরবাসী ঘরে বসেই অনলাইনে নিজেদের ট্যাক্স হিসাব করতে পারবেন।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ উল মোস্তাক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান এবং গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/মুসা