শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

রমজানেও সংযম নেই নিত্যপণ্যের মূল্যে

মোস্তফা কাজল

রমজানেও সংযম নেই নিত্যপণ্যের মূল্যে

বাজার দর

রমজানেও বাজারে নিত্যপণ্যের দাম সংযম মানছে না। ব্যবসায়ীরা নানান অজুহাতে বাড়িয়ে চলেছেন দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিনের ব্যবধানে বেশির ভাগ পণ্যেরই দাম বেড়েছে। বেশি বেড়েছে চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর, বেগুন, কাঁচামরিচ, মাছ ও মাংসের দাম। রমজান শুরু হওয়ার আগে থেকেই কয়েক দফায় এসব পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছিল। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বৃদ্ধির জন্য পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দুষছেন। আর দায়িত্বশীলরা চলছেন সবকিছু না দেখার ভান করে। ক্রেতারা বলছেন, রমজান মাসে বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বাজার অস্থির করে তুলেছেন। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান জানান, সরকারি হিসাবে চাহিদার চেয়ে পণ্য অনেক বেশি জমা আছে। এরপরও দাম বাড়লে তা কারসাজি ছাড়া কিছু নয়। তিনি সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বন্যা হয়নি। অতি বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়নি। ট্রাক ভাড়াও আছে স্বাভাবিক। এরপরও গতকাল বাজারে বেগুন ও কাঁচামরিচের কেজি ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। দুই সপ্তাহ আগেও বেগুনের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কাঁচামরিচের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বারিধারা বাজারের সবজি বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, রমজানের বাড়তি চাহিদা থাকায় গত কয়েকদিন ধরে পাইকারিতেই বেগুন ও কাঁচামরিচ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত রবিবার থেকে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শসা, গাজর ও টমেটো ৪৫ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগেও ১০০ গ্রাম ধনেপাতা ১০ টাকা ছিল। গতকাল তা বিক্রি হয় ৩০ টাকায়। এ হিসাবে কেজি পড়ছে ৩০০ টাকায়। সবজির দাম কেন বাড়ছে— তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, এখন মোকাম থেকেই বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর