শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে পদে পদে যাত্রী হয়রানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পদে পদে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ হয়রানিতে জড়িত আনসার-এপিবিএন এবং ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্যরা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, এ বিমানবন্দরে কমপক্ষে ৯ খাতে যাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় এবং নিয়মবহির্ভূত অর্থও দিতে হচ্ছে। সনাক-টিআইবির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী বলেন, বিমানবন্দরে সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে আছে সিভিল অ্যাভিয়েশন, ইমিগ্রেশন, আনসার-এপিবিএন ও বিভিন্ন এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ এবং কাস্টমস। এদের মধ্যে সিভিল অ্যাভিয়েশন এবং কাস্টমস সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করে। যারা নিরাপত্তা প্রহরী- তারা নানাভাবে যাত্রীদেরকে টাকা পয়সার জন্য হয়রানি করে।  অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় আনসার সদস্যদের মাধ্যমে হয়রানি বেড়েছে। প্রায়ই মালামাল লুকিয়ে রেখে ৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বকশিশ আদায় করা হচ্ছে। কাঁচি ও আয়রন জাতীয় ধাতব বস্তু এবং শুঁটকি, ফলমূল, রান্না করা খাবার, কাঁঠালের মতো পচনশীল বন্তু পরিবহনের উপযুক্ত না হলেও ২০০ থেকে ৫০০ টাকার বিনিময়ে সেগুলো পরিবহনের সুযোগ দিচ্ছেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা। বহির্গমন কার্ড পূরণের জন্য যাত্রী বিশেষত প্রবাসী শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা নিচ্ছেন সিভিল অ্যাভিয়েশন, ইমিগ্রেশন বিভাগ ও এয়ারলাইনসের কর্মরতরা। ভিজিট ভিসার মাধ্যমে যারা মধ্যপ্রাচ্যে যান তাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।   ভিসার মেয়াদ কম, ছবি ঠিক নেই এসব অজুহাতেও প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে  ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়।  গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বিকাল সাড়ে  ৪টায় সনাক-টিআইবির চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে অনিয়মের এসব চিত্র তুলে ধরেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর