রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহঋণ সহজ হলো

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্বল্প সুদে গৃহঋণের আওতায় আনাসহ কয়েকটি শর্ত শিথিল করে পুনরায় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। গত ৬ মার্চ অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার স্বাক্ষরিত এ বিষয়ে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন ৭ মার্চ জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর আওতায় সরকারি কর্মচারীরা ৫ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ-নির্মাণ ঋণ পাবেন। বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসকে গত বছরের ৩০ জুলাই জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এ ঋণের আওতায় না রাখলেও নতুন প্রজ্ঞাপনে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আগের প্রজ্ঞাপনে ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা হিসেবে কর্মচারীদের বয়সসীমা চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর সর্বনিম্ন ৫ বছর ও সর্বোচ্চ ৫৬ বছর করা হলেও পরিবর্তিত প্রজ্ঞাপনে সর্বোচ্চ ৫৬ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৮ বছর করা হয়েছে। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ বিষয়ে অর্থ বিভাগ থেকে গত ৩০ জুলাই জারিকৃত পরিপত্রটি বাতিল বলে গণ্য   হবে। তবে ওই পরিপত্রের আওতায় এরই মধ্যে গৃহীত কার্যব্যবস্থা বহাল থাকবে। এ নীতিমালা বাস্তবায়নে কোনো অস্পষ্টতা দেখা দিলে তা সরকার, তথা অর্থ বিভাগ এবং বাস্তবায়নকরী ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করা যাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃণনির্মাণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব তফসিলি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে এ ঋণ প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে সরকার অন্য যে কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। নীতিমালা অনুযায়ী, জাতীয় বেতন কাঠামোর পঞ্চম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা, যাদের বেতন স্কেল ৪৩ হাজার বা এর বেশি তারা প্রত্যেকে ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে গৃহনির্মাণে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। জেলা সদরে এর পরিমাণ হবে ৬০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ লাখ টাকা।

সর্বশেষ খবর