মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

বদলানো হচ্ছে তিতাসের ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো গ্যাসলাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকার পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস লাইনগুলো পরিবর্তন করে নতুন করে লাইন স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ রাজধানীর ২৫ থেকে ৪০ বছর পুরনো গ্যাসলাইনগুলো বদলে নতুন লাইন স্থাপন করতে যাচ্ছেন। এতে গ্যাসের পাইপলাইনের লিকেজ শনাক্ত হবে এবং সিস্টেম লসও কমবে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এ জন্য বর্তমানে পাইপলাইন তৈরির ম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে   ১ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানান, ঢাকা ও এর আওতাধীন আশপাশ এলাকায় সংস্থাটির প্রায় ১৩ হাজার কি.মি. গ্যাস বিতরণ ও সরবরাহ লাইন আছে। যার মধ্যে পাঁচ হাজার কি.মি. গ্যাসলাইন ২৫ থেকে ৪০ বছর পুরনো। লাইনগুলো এরই মধ্যে বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিতাস কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি এড়াতে পাঁচ হাজার কি.মি. এই গ্যাসলাইন পরিবর্তন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে দুই হাজার কি.মি. পুরনো পাইপলাইন বদলে নতুন লাইন লাগানো হবে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট লাইনও পরিবর্তন করা হবে। তিতাস কর্তৃপক্ষ বর্তমানে এই প্রকল্পের লাইন নির্মাণের নকশা তৈরিতে ব্যস্ত। এটি শেষ হলে তা জ্বালানি বিভাগে এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তিতাসের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আবদুল ওহাব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা নতুন পাইপলাইন নির্মাণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট জরিপ কার্যালয় এবং গুগল ম্যাপ দেখে পুরো পাইপলাইন নির্মাণ ম্যাপের নকশা প্রস্তুত করছি। এ জন্য ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এটি তৈরির জন্য দুই মাসের সময় নিয়েছি। এরই মধ্যে দুটি বৈঠকও হয়েছে। আশা করছি, দুই বছরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি জানান, মূলত গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ বের করতেই এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকার গ্যাস পাইপলাইনগুলোর অধিকাংশই এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নতুন পাইপ লাইন লাগানো হলে লিকেজ গ্যাস পাইপলাইন যেমন শনাক্ত করা যাবে তেমনি গ্যাসের সিস্টেম লসও কমবে।

 

সর্বশেষ খবর