শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

দুখু মিয়াদের দুঃখ বাড়েই

পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অব্যবস্থাপনা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

দুখু মিয়াদের দুঃখ বাড়েই

পুঁজির অভাবে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে এসব দোকান চালু করতে পারেননি ভিক্ষুকরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ টোলপ্লাজায় ভিক্ষা করতেন শারীরিক প্রতিবন্ধী দুখু মিয়া। টোলপ্লাজায় গাড়ি থামলেই হাত বাড়িয়ে দিতেন সাহায্যের আশায়। সারাদিনের ভিক্ষার আয় দিয়েই কোনোরকম চলছিল সংসার। তার সঙ্গে ভিক্ষা করতেন আরেক প্রতিবন্ধী দুলাল মিয়াও। সরকারের ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পে আশান্বিত হন দুখু মিয়া ও দুলাল মিয়া। স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন স্বাবলম্বী জীবনের। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। পুনর্বাসনের নামে উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের দুটি টং দোকান নির্মাণ করে দিলেও পুঁজির অভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেননি তারা। প্রশাসনকে দেওয়া কথা রক্ষায় ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। শুধু দুখু মিয়া বা দুলাল মিয়া নয়, সঠিক পুনর্বাসনের অভাবে অনেক ভিক্ষুকই এখন পরিবার নিয়ে অসহায়। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ত্রুটির কারণে স্বাবলম্বী হতে না পেরে অনেকে আবার ফিরে গেছেন তাদের পুরনো পেশা ভিক্ষাবৃত্তিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ সময় উদ্যোগ নেওয়া হয় উপজেলার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের। ভিক্ষুকদের তালিকা তৈরি করেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুরে জান্নাত। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য তাদেরকে নৌকা, হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল, সেলাই মেশিন ও মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়। তবে এই সহযোগিতা সবার কপালে জোটেনি। দুখু মিয়া দুঃখ করে পুনর্বাসন প্রসঙ্গে বলেন, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী না হলে তিনি কখনো ভিক্ষা করতেন না। সরকারের এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, দোকানকোঠা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু পুঁজি দেওয়া হয়নি। ব্যবসা করার মতো আমার পুঁজি থাকলে তো ভিক্ষাই করতাম না। তবে আশার কথা জানিয়েছেন বর্তমান ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, দুখু মিয়া, দুলাল মিয়াদের ব্যাপারে তিনি খোঁজ নেবেন। সত্যি তাদের অবস্থা খুব খারাপ হলে তাদের ব্যবসায়ের জন্য পুঁজির ব্যবস্থা করে দেবেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর