বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ক্যাবল টিভি আইন সংশোধনের দাবি কোয়াবের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বন্ধ রেখে বিদ্যমান ক্যাবল টিভি আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। একই সঙ্গে ডিজিটাল ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সময়োপযোগী আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করে একটি কমিউনিটি চ্যানেল অনুমোদনেরও দাবি জানানো হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ভিআইপি হলে গতকাল বিকালে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ

 (কোয়াব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ। এ সময় সাবেক মহাসচিব নিজাম উদ্দীন মাসুদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম সাইফুল হোসেনসহ দেশব্যাপী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ২০০৬ সালের ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের কার্যক্রম পরিচালনা আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমানে পরিচালিত ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে অভিযান পরিচালনা বন্ধ রাখাসহ ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনটি অতি দ্রুত আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে সংশোধন করা, ক্যাবল অপারেটরদের অনুকূলে সরকারি বিধিবিধান পালন সাপেক্ষে একটি কমিউনিটি চ্যানেলের অনুমোদনের ব্যবস্থা করা, ক্যাবল টেলিভিশন খাতকে অতি দ্রুত শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা, সফলভাবে ডিজিটাল ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সম্পন্ন করার লক্ষ্যে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা এবং ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের আমদানিকৃত যন্ত্রপাতিসমূহ শুল্কমুক্ত ঘোষণা করা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, চ্যানেলে কোন টিভি আগে আসবে কোনটা পরে যাবে এই সিরিয়াল কোয়াব করে না, সরকার করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘চলতি বছরের ২২ মে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রণালয় বর্তমানে পরিচালিত অ্যানালগ ক্যাবল টেলিভিশন খাতটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ডিজিটালে রূপান্তরিত করার জন্য সব সিটি করপোরেশন এলাকার ক্যাবল অপারেটরদের নির্দেশনা প্রদান করে। সরকারের এই খাতটি ডিজিটাল করার ঘোষণার পর ক্যাবল অপারেটররা যখন প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন, তখন এই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান আমাদের হতবাক করেছে।’ এ সময় জানানো হয়, ‘ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক কার্যক্রম পরিচালনা আইন, ২০০৬’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী নয়। ক্যাবল টিভি আইনটি যখন প্রণয়ন করা হয়েছে, তৎকালীন ক্যাবল টিভি প্রযুক্তি বর্তমানের মতো আধুনিক ছিল না। তখন থেকেই কোয়াব এই আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধন করার জন্য আবেদন করে আসছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ০১/০৯/২০০৯ সালেও কোয়াব তথ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির কাছে আইনটি সংশোধনের জন্য লিখিত প্রস্তাব পেশ করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, প্রচলিত ক্যাবল টিভি আইনটি আজও সংশোধন করা হয়নি। বরং সে আইনের আলোকে আজ সারা দেশে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এ সময় বলা হয়, এ খাতটি ঘিরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৪-৫ লাখ লোকের রুটি-রুজি জড়িত। আমাদের এই নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে দেশে আজ সরকারি-বেসরকারি ৩৪টি টিভি চ্যানেল পরিচালিত হচ্ছে। আরও চ্যানেল সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে। আমরা বিশ্বাস করি, সরকার সব দিক বিবেচনা করে অতি দ্রুত আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর