বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ আদেশ দেন। এর আগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে মামলা করার কারণে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। পরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। মামলার আসামিরা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূইয়া।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ জুলাই বাদীর বাসার ঠিকানায় একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পাঠিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তোর মামলায় আমার জীবন নষ্ট হয়েছে। আর আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলখানায় বন্দী রেখে মেরে ফেলার পরিকল্পনা হচ্ছে। আইএসের কাছে পাঠিয়েছি। এবার তোরা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক।’ ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গত মে মাসে তারেক রহমান আমাদের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিল তোকে খুন করার জন্য। তাই আমাদের নেতারা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত ছাত্রদলের ক্যাডার যিনি তারেক রহমানের বিশ্বস্ত ব্যক্তি এমদাদুল হককে তার বাহিনী নিয়ে তোকে কোর্টকাচারির আশপাশে খুন করার জন্য আটক করেছিল। কিন্তু বংশাল থানার আশপাশে থাকায় এবং কাকুতি মিনতি করায় তারা তোকে শর্ত দিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। এক মাসের মধ্যে সব মামলা প্রত্যাহার করে নিবি। তুই আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো ছিনতাই মামলা দিয়েছিস। তাই আমাদের নেতা তারেক রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে আইএসসহ আমাকে পাঠিয়েছে। এইবার আর তোকে কেউ বাঁচাতে পারবে না, প্রস্তুত হয়ে থাক।’
