মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ময়ূর নদ দখলমুক্ততে বাধা পাঁচ ভবন

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

ময়ূর নদ দখলমুক্ততে বাধা পাঁচ ভবন

খুলনায় দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল ময়ূর নদের দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়েছে জেলা প্রশাসন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

খুলনায় দ্বিতীয় দিনের মতো ময়ূর নদের দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ অভিযানে আরও ১১টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে উচ্ছেদ কার্যক্রমে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫টি বহুতল ভবন। এর মধ্যে দরগা রোডে নৌ অফিসার মাসুম বিল্লাহর একটি চারতলা ভবনের তিন চতুর্থাংশই নদের জায়গার ওপরে নির্মিত হয়েছে। একই রোডে ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের তিনতলা ভবনের অর্ধেকাংশ রয়েছে নদের জায়গায়।

জেলা প্রশাসনের সার্ভেয়ার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দরগা রোডে নৌ অফিসার মাসুম বিল্লাহর ৫ শতক জমির ওপরে চারতলা ভবনের মাত্র আধাশতক জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন। সেই জমিও রয়েছে অন্যের নামে। আর বাক সাড়ে ৪ শতক জমি নদের খাস খতিয়ানভুক্ত। ৪৮ ফুট বাই ৪৫ ফুট দৈর্ঘ্য-প্রস্থের বহুতল এ ভবনের ৩০ ফুট বাই ৩৫ ফুট স্থাপনা ভাঙতে হবে। সরেজমিন দেখা যায়, ময়ূর নদের পাশে দরগা রোডে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ইজিবাইক চার্জিং পয়েন্ট, টিনশেড বাড়ি, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, সেমি পাকা ঘর ও গাছপালা উচ্ছেদ করা হয়েছে। নৌ অফিসারের চারতলা ভবনটিও ভাঙার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাশের তিনতলা ভবনের বর্ধিত অংশ স্বউদ্যোগে ভাঙতে শুরু করেছেন বাড়ির মালিক কামরুল ইসলাম। তবে নৌ অফিসারের স্ত্রী সালমা আক্তার জানান, এ জমি নিয়ে জেলা যুগ্ম জজ আদালতে মামলা রয়েছে। গত শনিবার ভবন না ভাঙতে আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিরালা আবাসিক এলাকায় আইয়ুব আলী খানের আড়াইতলা ভবনের একাংশ, জোয়াবের হোসেনের দ্বিতলা ভবনের সম্পূর্ণ ও মৌসুমী সুলতানার চারতলা ভবনের আংশিক রয়েছে খালের জায়গার ওপরে।

সিটি করপোরেশন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের যৌথ অভিযানে ময়ূর নদ ও ২৬টি খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। কয়েকটি ভবনের মালিকরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে সময় চেয়েছেন। এ কারণে তাদের কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর